বাঁচতে হলে মানতে হবে
দীর্ঘদিন হয়ে এলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থামছে না। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বরং তুলনামূলকভাবে বাড়ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
চীনে প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। রোববার প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যু ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ১৯৩ জনে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৪০৭ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৮২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জনে। গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘করোনা শুধু স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ধর্ম, বাণিজ্য অর্থাৎ জীবনের সব কিছুকে ঘিরে রয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনার সংক্রমণ আরও প্রলম্বিত হতে পারে আমাদের দেশে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীনতা, করোনাসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে সমন্বয়হীনতা, লোকজনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা, স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারেও তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করাসহ নানাবিধ কারণ এ জন্য দায়ী।
এদিকে পুরনো ভাড়ায় ফিরছে গণপরিবহন। ‘যত আসন তত যাত্রী’ নীতিমালার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যবিধি চলার কথা গণপরিবহনগুলোর। এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। করোনায় যেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে সেখানে পাশাপাশি সিটে বসে যাওয়া কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেটি ভেবে দেখতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থবিধি মানার ব্যাপারে কোনো বালাই নেই। তাছাড়া সিটিংয়ের নামে চিটিং তো ওপেন সিক্রেট। কাজেই এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক পরার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্তদের সহজে চিকিৎসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। সহজলভ্য করতে হবে শনাক্তকরণ। এছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এইচআর/জেআইএম