দোয়েল চত্বরে ঐতিহ্যের শৌখিন রাজ্য
বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মৃৎশিল্প ও কারুশিল্প। গ্রাম ছাড়িয়ে এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আজ শোভা পায় শহুরে জীবনে। কিংবা হয়তো শৌখিন নাগরিকদের বসার ঘরে। ছবি: মাহবুব আলম
-
মৃৎশিল্প, কারুশিল্প ও বেতশিল্প নাগরিক জীবনে তাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই তিন শিল্পের মেলবন্ধন দেখতে পাওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে।
-
দোয়েল চত্বর ঐতিহ্যের এক শৌখিন রাজ্য। এখানে গেলে শহুরে হস্তশিল্পপ্রেমীরা হারিয়ে যায়।
-
সারি সারি বাহারি হস্তশিল্পের দোকান রয়েছে এখানে।
-
শৌখিন এই পণ্যের চাহিদা শহুরে জীবনে নেহাৎ কম নয়। দিন দিন আরও বাড়ছে এ শিল্পের চাহিদা।
-
এখানকার মৃৎশিল্পের দোকানগুলোতে মাটির তৈজসপত্র বেশি হলেও বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যান্য পণ্যের রয়েছে বিপুল সমাহার।
-
এখানে পাওয়া যায়, মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র, গহনা, হাঁড়ি-পাতিল, কলস, ফুলদানি, বাহারি খেলনা, মাটির কাপ-পিরিচ, থালা, বাটি, মাটির তৈরি ফলমূল, বৈশাখী চুরি, বাঁশের কুলা, ডালা, বেত ও কাঠের শোপিস, পাটের শিকা, পুতুল, হ্যান্ডপার্স, সাইডব্যাগ, হোগলা পাতা ও নারিকেলের খোসার তৈরি নানা ধরনের শোপিস।
-
আরও আছে নকশী করা তালপাতার পাখা, পাখি, নৌকা, একতারা, ডুগডুগি, ঢোল, মাথার মাথাল, সাপের বীণ, কুড়েঘর ও ডোরবেলসহ হাজারও বৈশাখী পণ্য।
-
ঠিক যেন বাবুই পাখির বাসা।
-
কাঠের তৈরি হারিকেন।
-
মাঠির তৈরি ছোট কলসে রঙ করতে ব্যস্ত দোকানি।
-
মাঠির তৈরি কাপ।
-
ঘুরে ঘুরে পছন্দের জিনিস দেখছেন ক্রেতারা।
-
ঘর সাজানোর জন্য মাটির তৈরি বাহারি ফল।
-
শিশুদের খেলার পাশাপাশি ঘর সাজানোতেও এসব পণ্যর বেশ চাহিদা রয়েছে।