চুয়াডাঙ্গার ঘোলদাড়ীর শাহী মসজিদ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী গ্রামে অবস্থিত ঘোলদাড়ী শাহী জামে মসজিদ দেশের অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। ছবি: হুসাইন মালিক
-
ধারণা করা হয়, মসজিদটি স্থাপিত হয়েছিল খ্রিষ্টাব্দ ১০০৬ সালে।
-
ঐতিহাসিক এই মসজিদে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়।
-
তবে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অর্থাৎ কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার প্রথম জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত মসজিদটি।
-
ঘোলদাড়ী শাহী জামে মসজিদটির নির্মাণশৈলী যে কোনো ব্যক্তিকে মুগ্ধ করবে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির স্থাপত্যশিল্প দারুণ নান্দনিক।
-
মসজিদের চার কোণের থামের ওপর আছে চারটি ছোট মিনার। আছে দুইপাশে দুটি দরজা আর দক্ষিণ দিকে একটি জানালা এবং ছয়টি কুঠুরি। মসজিদটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাতলা ইট, টালি ও চুন-সুরকি।
-
মসজিদের ভেতরের দেওয়ালে আঁকা আছে নানা ধরনের লতাপাতা ও ফুল। অবাক হলেও সত্য যে, মসজিদের গাঁথুনির সময় চুন-সুরকির সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মসুর ডাল। মসজিদের শিলালিপিটি প্রায় নষ্ট হলেও এখনো সেটি নান্দনিক।
-
জনশ্রুতি আছে, প্রথম শতাব্দির কোনো এক সময় হজরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) নদীপথে আসেন। আসার সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় শেষ হয় নদী। সে সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় সামান্য কিছু বাড়িঘর ছিল। তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য ঘোলদাড়ী গ্রামে আস্তানা গড়েন। এখান থেকেই তিনি ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ শুরু করেন। তখন তিনি এ গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।