কোরবানির গরু এখন ওজনের খাঁচায়, বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে!
একটা সময় গরু কেনা মানেই ছিল চোখ মেপে, দড়ি ধরে দামাদামি। ওজন কত? তা নিয়ে ছিল না খুব একটা মাথাব্যথা। কিন্তু বদলে গেছে সময়। কোরবানির হাটে এখন গরু নয়, যেন মাংসের আগাম হিসাব হচ্ছে! বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিন বসেছে হাটে হাটে, দামের হিসাব চলছে ক্যালকুলেটরে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে ক্রয়-বিক্রয়ের ধরন, কোরবানির হাটে যেন চলছে ‘ওজন নির্ভর বাণিজ্য’। ছবি: আলমগীর হোসাইন
-
পাবনায় মণপ্রতি ২৬ থেকে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। তবে হাট এখনো জমে ওঠেনি।
-
হাটে দেশি-বিদেশি গরু উঠলেও ক্রেতা নেই। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলে ক্রেতার সঙ্গে দামও বাড়বে বলে জানান খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
-
হাজিরহাট, অরণকোলা হাট ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত গরু উঠলেও হাটে আমেজ নেই। তাই বড় গরু কম আনছেন খামারিরা। ছোট ও মাঝারি গরু তুলছেন বেশি। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে ছোট গরুগুলোই বেশি দেখছেন।
-
বাজারে মণপ্রতি ২৬-২৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছোট ও মাঝারি গরু। বড় গরুর দাম তুলনামূলক কম। বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় হাটে তেমন তোলা হচ্ছে না। ভালো দামের আশায় এসব গরু ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বাইরের বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হবে।
-
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ২৭ হাজার ১০১টি খামারে এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ৬ লাখ ৪৮ হাজার ২০৪টি। চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার ৮২টি। এর মধ্যে গরু দুই লাখ, মহিষ প্রায় সাড়ে আট হাজার, ছাগল তিন লাখ ৭২ হাজার ৬১১টি ও ৬৮ হাজারের বেশি ভেড়া রয়েছে। এসব পশু জেলার স্থায়ী ১৭টি ও অস্থায়ী ৮টি হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।
-
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএসএম মুশাররফ হোসেন বলেন, ‘হাটগুলোতে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। গরু এখনো তেমন হাটে তোলা হয়নি। বড় গরুগুলোও ঢাকা বা বাইরের জেলায় নেওয়া হবে। তবে দু-চারদিনের মধ্যে গরু হাটে উঠবে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাটে ক্রেতা সমাগমও বাড়বে।’