বিলুপ্তির পথে কামার শিল্প
‘স্যাঁকরার খুট খাট, কামারের এক ঘা’ বহুল প্রচলিত প্রবাদটি এখন আর তেমন শোনা যায় না। এক সময় কোরবানির ঈদকে ঘিরে কর্মচঞ্চলে মুখরিত থাকতো কামারপাড়া। তবে এখন সময় বদলেছে, নেই আগের মতো জৌলুস। বাজারে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় শিল্পটি বিলুপ্তির পথে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
বংশ পরম্পরায় চলে আসা এক সময়ের ঐতিহ্য ধরে রেখে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তবে এতে নেই আগের মতো আয়।
-
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া বাজার। এক সময় কামারশিল্পের জন্য সুখ্যাতি ছিল এই বাজারের। কমপক্ষে ২০টি দোকান ছিল এখানে। দা, বটি, ছুরি, কাচি, কোদালসহ বিভিন্ন গৃহস্থালির নানা উপকরণ তৈরিতে এক সময় দিনরাত ব্যস্ত থাকতো কামারপাড়ার শিল্পীরা। উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে এসব উপকরণ সরবরাহ হতো দেশের বিভিন্ন জেলায়।
-
কিন্তু নানা সমস্যায় জর্জরিত শিল্পটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কালের বিবর্তনে অনেকেই গুটিয়েছেন পৈত্রিক ব্যবসা। শুধুমাত্র চারজন এখন বাজারটিতে টিকে রয়েছেন।
-
আগের মতো হাপড় (চামড়া দ্বারা তৈরি একধরনের যন্ত্র) টেনে, লোহা পুড়িয়ে লাল করে পিটিয়ে টুং টাং শব্দে দিনরাত ধারালো জিনিস তৈরিতে ব্যস্ততা নেই কারিগরদের। বর্তমানে বাজারে আধুনিক স্টিল ও লোহার তৈরি জিনিসপত্র পাওয়ায় প্রাচীন পদ্ধতিতে তৈরি লোহার উপকরণের প্রতি আগ্রহ নেই মানুষের।