ভাঙনে থেমে নেই পদ্মা, নিঃশ্বাস ফেলারও ফুরসত নেই চরবাসীর
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
প্রায় পনেরোদিন ধরে নদী পাড়ের বেশ কয়েকটি রাস্তা এরই মধ্যে ভেঙে গিয়েছে।
-
পদ্মা নদীর ভাঙনে অনেকেই বসতভিটা হারাতে বসেছেন।
-
ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে ভিটেমাটি ফেলে অনেকেই তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।
-
এদিকে, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নজরদারি ও প্রতিকার নিচ্ছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
-
সবমিলিয়ে হঠাৎ করে পদ্মার ভাঙ্গন তীব্র আকারে বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষ।
-
জানা গেছে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ভাঙন। প্রায় ১৫ দিনে ভাঙনের শিকার হয়েছেন সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার শয়তান খালি ঘাট, খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী, গোপালপুর ঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
-
এছাড়া নদীভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের মুন্সীরচর, পিয়াজখালির চর, আকোট, আকোটেরচর এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা।
-
অন্যদিকে ছলেনামা ও খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর ঝুঁকিতে রয়েছে।
-
জানা গেছে, দুটি উপজেলার কমপক্ষে ৬০/৭০ টি পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে খোলা জায়গায় বসবাস করছেন। অনেকে নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।
-
অনেকে আবার বাড়ির চাল খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া লাগিয়ে রেখেছেন। যদি ভাঙন থেমে বসতভিটেটুকু টিকে থাকে সেই আশায়।