বইয়ের বদলে প্ল্যাকার্ড, শ্রেণিকক্ষের বদলে সড়কে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা যেখানে হওয়া উচিত শ্রেষ্ঠ আলোচনার মঞ্চ, সেখানে আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রতিবাদের স্লোগান। ক্লাসরুমের শান্ত টেবিল-চেয়ার ছেড়ে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছে রাজপথে, হাতে বইয়ের বদলে প্ল্যাকার্ড, কণ্ঠে শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) বহিষ্কৃত সহপাঠীদের জন্য ন্যায়ের দাবিতে তারা নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করে দেখিয়ে দিচ্ছে-এই প্রজন্ম আর চুপ করে সহ্য করবে না। প্রশাসনিক স্থবিরতা আর দমননীতি পেছনে ফেলে, তারা চাইছে স্বচ্ছতা, অধিকার ও একটি নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ। ছবি: জান্নাত শ্রাবণী
-
উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ৪০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি ইউআইইউ। তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
-
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা কুড়িল বিশ্বরোড-বাড্ডা সড়কে অবস্থান নেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
-
শিক্ষার্থীরা মূলত দুই দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি করছেন। তাদের দাবিগুলো হলো- উপাচার্য ও একজন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্তে তুলে নেওয়া। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শূন্যতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা।
-
শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
-
ইউআইইউ সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানান, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের জেরে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করে আসছেন।
-
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
-
২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।