রাজধানীতে আজও বাঁশের সাঁকোই ভরসা
ভোরের আলো ফোটার আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে রামপুরা খালের পাড়ঘেঁষা পথ। কর্মস্থলে যাওয়ার তাড়া, স্কুলে ছোটদের নিয়ে যাওয়ার তাগিদ কিংবা বাজারসদাই করতে বেরোনো মানুষেরা হেঁটে চলেন এক বাঁশের সাঁকো বেয়ে। রাজধানীর বনশ্রী ও আফতাবনগরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত রামপুরা খালের ওপর নির্মিত এই চারটি বাঁশের সাঁকোই যেন দুই পাশের মানুষের জীবনের সেতুবন্ধন। ছবি: মাহবুব আলম
-
আইডিয়াল স্কুল থেকে মেরাদিয়া পর্যন্ত এই চারটি বাঁশের সাঁকো প্রতিদিন বহন করে লাখো মানুষের ভার।
-
যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠা এই কাঠামোগুলো স্থায়ী কোনো অবকাঠামো নয়, কেবল বাঁশের ওপর ঠেকা দিয়ে বেঁচে থাকা একটা সমাধান মাত্র।
-
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই সাঁকোগুলোর প্রতিটিই এখন এক একটি ঝুঁকির নাম।
-
বছরের পর বছর ধরে রামপুরা ও মেরাদিয়া এলাকার বাসিন্দারা এই সাঁকোগুলোর ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করছেন। অথচ একটু বৃষ্টি কিংবা খালের পানির প্রবাহ বাড়লেই সাঁকো হয়ে ওঠে মৃত্যু ফাঁদ।
-
অনেক জায়গায় বাঁশের জোড়গুলো আলগা, কিছু স্থানে বাঁশ চিড়ে গেছে। হাঁটতে গেলে পা আটকে যায়, কখনো পড়ে গিয়ে হাত-পা ভাঙার ঘটনাও ঘটে।
-
কেনো নেই স্থায়ী সেতু? এই প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে বছরের পর বছর। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ দুই আবাসিক এলাকার মাঝে থাকা এই খালের ওপর স্থায়ী কোনো সেতু নেই, যা সহজেই জনগণের চলাচল নিশ্চিত করতে পারত। স্থানীয়রা বহুবার দাবি জানিয়েও কোনো আশ্বাস বা পদক্ষেপ পাননি।
-
বিষয়টি শুধু যাতায়াতের নয়; জরুরি সেবা, যেমন অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতাও এই এলাকাগুলোর জন্য জটিল হয়ে পড়ে। খালের দুই পাশে বিপুল জনসংখ্যা, কিন্তু সংযোগ পথ বলতে ভরসা শুধু বাঁশের তৈরি সাঁকো।