রাস্তা নয়, যেন জলকাদা পেরোনোর মিশন
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যাত্রাবাড়ী। এই অঞ্চলের কাজলা এলাকাটি ঘনবসতি, স্কুল-কলেজ, বাজার এবং কর্মজীবী মানুষের পদচারণায় সবসময় সরব। কিন্তু সেই সরবতা যেন বর্ষা এলেই স্তব্ধ হয়ে যায়; কারণ একটাই, বেহাল রাস্তাঘাট। পানি জমে রাস্তাগুলো হয়ে ওঠে হাঁটার অযোগ্য। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু ও পথচারীরা পড়েন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ
-
চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারও সেই পুরনো চিত্র ফিরে এসেছে। কাজলার রাস্তা এখন আর রাস্তা নেই, বরং কাদামাটির গর্ত আর জমে থাকা পানিতে ভরা এক বিপজ্জনক পথ।
-
প্রতিদিন সকালবেলা শত শত শিক্ষার্থী বই-খাতা হাতে যখন স্কুলে রওনা দেয়, তখন তাদের পা পড়ে একেকটা ছোট জলাশয়ে। স্কুল ইউনিফর্ম, জুতা, ব্যাগ সব ভিজে একাকার। শুধুই কি ভেজা? অনেক সময় সেই পানির নিচে থাকা গর্তে পা পিছলে পড়ে যায় ছোট ছোট বাচ্চারা। চোখে জল আর শরীরে কাদা নিয়ে তারা পৌঁছায় বিদ্যালয়ে।
-
পথচারীদের অবস্থাও তথৈবচ। অফিসমুখী মানুষ হেঁটে চলতে গিয়ে হয় কোমরসমান পানিতে আটকে পড়ছেন, নয়তো গর্তে পা পড়ে আহত হচ্ছেন। হঠাৎ করে পানি জমে থাকায় বাইক ও রিকশাচালকদেরও পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। গাড়ির চাকা আটকে যাচ্ছে কাদায়, রিকশা উল্টে যাচ্ছে জলমগ্ন গর্তে।
-
স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর ধরে এই রাস্তার সমস্যা চললেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। উন্নয়নের স্লোগান থাকলেও এই এলাকায় তার বাস্তব প্রতিফলন নেই। মাঝে মাঝে সাময়িক মেরামত করা হয় ঠিকই, কিন্তু তা যেন চোখে ধুলা দেওয়ার মতো। সামান্য বৃষ্টিতেই আবার সেই পুরনো দুর্দশা ফিরে আসে।
-
এ ধরনের জলাবদ্ধ, অপরিষ্কার রাস্তায় ডেঙ্গু ও পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। জমে থাকা পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো হচ্ছেই, তার ওপর স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির এই মাত্রা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে।