ছবিতে দেখুন পাগলা মসজিদে দান সিন্দুক থেকে পাওয়া টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দান সিন্দুক থেকে পাওয়া ৩২ বস্তা টাকা গণনায় সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এখনও গণনা চলছে। ছবি: এসকে রাসেল
-
চার মাস ১৮ দিন পর মসজিদের ১৪টি দান সিন্দুক খুলে ৩২ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
সকাল সোয়া ৭ টায় সিন্দুক খুলে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে রেখে শুরু হয় গণনার কাজ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
-
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবক্সে পাওয়া গেলো এক চিরকুট। যে চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে’
-
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো আরও এক চিঠি। যে চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘নির্বাচন চাই না, আমাদের দরকার ইউনুস সরকার।’
-
রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
-
তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণনায় ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওয়া রয়েছে। মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা করার জন্য এ টাকাগুলো রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে। এখনও চলছে গণনার কাজ। এতে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।
-
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
-
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।