ভাঙা রাস্তায় দিশেহারা পথচারী-যাত্রী
ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার নতুন রাস্তাটি যেন নামেই নতুন। বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি এখন ভাঙাচোরা আর খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় ভ্যানচালক, লেগুনা ও বাসচালক, ট্রাকচালক থেকে শুরু করে সাধারণ চাকরিজীবী ও পথচারীদের। ফলে তাদের দুর্ভোগ যেন এক অনন্ত যাত্রা। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ
-
রমনা কিংবা মতিঝিলের মতো ব্যস্ত এলাকায় দ্রুত যেতে হলে এই রাস্তাটিই অনেকের ভরসা। কিন্তু প্রতিটি গর্ত যেন যাত্রী ও চালকদের জন্য ভয়ংকর ফাঁদ।
-
লেগুনা কিংবা বাস যখন হঠাৎ থেমে যায় বা দুলে উঠে, তখন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় যাত্রী নামার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, আবার চালকেরা ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালান।
-
শুধু যানবাহন নয়, দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী চাকরিজীবীরাও। সকালে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে না পেরে অনেকেরই চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
-
পথচারীদের জন্য এই রাস্তা আরও বিপজ্জনক। খানাখন্দে জমে থাকা নোংরা পানিতে প্রতিদিনই ভিজে যায় তাদের কাপড়-জুতা। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও ভয়াবহ।
-
গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের এই রাস্তার চিত্র আসলে ঢাকার নগরজীবনের এক চেনা প্রতিচ্ছবি।
-
উন্নয়নের বড় বড় স্লোগান থাকলেও নাগরিকের মৌলিক চাহিদা, যাতায়াত, অবহেলায় পড়ে থাকে বছরের পর বছর। অথচ প্রতিদিন এই রাস্তায় হাজারো মানুষ চলাচল করে, যাদের ঘাম-রক্তেই চলছে শহরের কর্মব্যস্ত জীবন।
-
তবুও মানুষ থেমে থাকে না। রাস্তায় ধুলা-বালি, গর্ত কিংবা পানি-সবকিছুর সঙ্গেই তারা খাপ খাইয়ে নেয়।
-
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়-এই খাপ খাওয়াই কি তাদের নিয়তি? নাগরিক হিসেবে কি তাদের প্রাপ্য নয় একটি নিরাপদ ও সংস্কারকৃত রাস্তা?
-
এই রাস্তায় প্রতিদিন ভাঙা পথ মাড়িয়ে চলতে থাকা মানুষগুলোর গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়-উন্নয়ন শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও হওয়া জরুরি। নইলে গেন্ডারিয়ার মতো ‘নতুন’ রাস্তাও হয়ে থাকে দুর্ভোগের প্রতীক।