ছবিতে ঢাকার পাইকারি বাজার
ঢাকার পাইকারি বাজার সবসময়ই ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। বিশেষ করে শীতের মরসুমে এই প্রাণকেন্দ্র আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ঢাকায় আসেন শীতের পোশাক কিনতে, আর সেই কারণে বাজারে জমে ওঠে ব্যস্ততা, হুল্লোড় আর উৎসাহের এক অনন্য পরিবেশ। ছবি: মাহবুব আলম
-
প্রাণবন্ত গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার মার্কেট। দোকানগুলো সাজানো শীতের জামাকাপড়, ক্রেতারা পোশাক বাছাই করছেন আর ব্যবসায়ীরা নতুন স্টক সাজাচ্ছেন। এই দৃশ্য এক সঙ্গে শীতের ফ্যাশন, জীবনের ছন্দ এবং ঢাকার ব্যস্ততাকে তুলে ধরে।
-
ঢাকায় পুরোপুরি শীতের আগমন না হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আবহ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাকের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। ঢাকার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক কিনতে ঢাকায় আসা শুরু করেছেন। এতে রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা নতুন করে জমে উঠেছে।
-
গুলিস্তান এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটে শীতের সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, মাফলার, কম্বলসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাইকারি দামে বিক্রি হয়। ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা প্রধানত এসব পণ্য কিনে নিজ নিজ শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
-
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীত এখনও পুরো ঢাকায় আসেনি, কিন্তু বাইরে থেকে ক্রেতাদের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারি বিক্রি এরই মধ্যে বেড়েছে। প্রতিদিন কয়েকশো ক্রেতা পাইকারি বাজারে আসছেন। তারা আশা করছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের প্রকৃত আগমন শুরু হলে বিক্রি আরও বাড়বে।
-
ক্রেতাদের সুবিধার জন্য পাইকারি দোকানগুলোতে নতুন কালেকশন সাজানো হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সোয়েটার, ওয়ার্ক ওয়ার্মার জ্যাকেট, হাত মোজা, স্কার্ফ এবং কম্বল বিক্রি বেশি। ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য সরাসরি কিনে নিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
ক্রেতারা সোয়েটার ও জ্যাকেট বাছাই করছেন, দোকানদাররা নতুন স্টক সাজাচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, শীতের মরসুমে ঢাকা এখনও পাইকারি বাজারের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।