শীতের আগমনে কর্মব্যস্ত কেরানীগঞ্জ
বাংলাদেশের হিমেল সকালগুলো জানিয়ে দিচ্ছে শীত এসে গেছে। উত্তরের হাওয়া ঢাকায় পৌঁছে গেছে আগেই, শহরের অলিগলিতে এখন ঠান্ডা বাতাসের ছোঁয়া। আর এই সময়টাতেই কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকা যেন জেগে উঠেছে নতুন প্রাণে। শীতবস্ত্র তৈরির ব্যস্ততায় মুখর ছোট ছোট গার্মেন্টসগুলো; ভোর থেকে রাত অবধি চলছে সেলাই, কাটিং, প্যাকিং সব মিলিয়ে শ্রমের উষ্ণতায় উজ্জ্বল এক চিত্র। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ
-
কেরানীগঞ্জের এই গার্মেন্টসগুলোতে মূলত তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, থ্রি-পিস, গরম কাপড়ের শাল ও বাচ্চাদের শীতের পোশাক।
-
পাইকারি বাজারে সরবরাহের আগে এখান থেকেই তৈরি হয় দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছানো সেই উষ্ণ পোশাকগুলো।
-
জিনজিরার সরু গলিগুলো এখন যেন ছোট ছোট কারখানার এক মহাসমুদ্র-প্রতিটি ঘরেই গুনগুন করছে মেশিন, পরিশ্রমে ঘাম ঝরছে শত শত শ্রমিকের।
-
শ্রমিকরা বলেন, শীত এলেই কাজ বেড়ে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়, কিন্তু তাতেই খুশি। কারণ এই সময়েই আয় হয় কিছুটা বেশি।
-
এক গার্মেন্টস মালিক জানান, দেশজুড়ে এখন শীতের পোশাকের চাহিদা অনেক। আমাদের অর্ডারও বেড়েছে। শ্রমিকরাও দিনরাত কাজ করছেন চাহিদা মেটাতে।
-
এই ব্যস্ততার মাঝেও আছে এক অদ্ভুত আনন্দ, কারণ তাদের হাতের তৈরি পোশাকেই উষ্ণতা খুঁজে পাবে হাজারো মানুষ। কারও শীতের সকালে আর ঠান্ডা লাগবে না, কারও শিশুর গায়ে উঠবে নতুন সোয়েটার-এই অনুভূতিই যেন শ্রমের ক্লান্তি মুছে দেয়।
-
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এখন যেন এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি-যেখানে শীত মানে শুধু ঠান্ডা নয়, পরিশ্রম, সৃজনশীলতা আর মানবিক উষ্ণতার এক মেলবন্ধন।