রায়ের অপেক্ষায় ট্রাইব্যুনালে জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্রনেতারা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আজ সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিচারপ্রার্থীদের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিলেন জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধারা এবং মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ। একই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সাদিক কায়েম। ছবি: মাহবুব আলম
-
ট্রাইব্যুনালের ভেতর থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, রায় ঘোষণার অপেক্ষায় সবার চোখে এক ধরনের উত্তেজনা ও প্রত্যাশার মিশেল। দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের পর থেকে বিচার ও জবাবদিহির দাবি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতি ঘটনাটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।
-
জুলাই আন্দোলনের সময়ে আহতরা জানান, দেশ যেই অবস্থায় থাকুক, ন্যায়ের সন্ধানে তারা সবসময় আদালতের ওপর আস্থা রেখেছেন। রায় ঘোষণার দিন তাদের উপস্থিতি সেই আস্থারই প্রতীক।
-
অন্যদিকে মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধের উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। পারিবারিক লড়াই, সংগ্রাম ও দীর্ঘদিনের অপেক্ষা যেন তার চোখে স্পষ্ট। আদালতের বাতাসে টানটান উত্তেজনা অনুভব করা যাচ্ছিল প্রতিটি মুহূর্তে।
-
ডাকসুর সাবেক ভিপি সাদিক কায়েমও আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান, এই রায় শুধু একটি মামলার বিচার নয়, এটি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার ওপরও প্রভাব ফেলবে। ছাত্ররাজনীতির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করছেন, এই মুহূর্তটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আবহকে অনেকটাই নির্ধারণ করবে।
-
ট্রাইব্যুনালের সামনে ভিড় বাড়তে থাকলেও পরিবেশ ছিল শান্ত। নিরাপত্তা ছিল জোরদার, আর প্রবেশপথে ছিল বাড়তি নজরদারি। রায় ঘোষণার প্রতীক্ষা যেন আদালত এলাকা ছাড়িয়ে পুরো দেশের মনোযোগকে আকর্ষণ করে রেখেছিল।
-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজকের এ উপস্থিতি প্রমাণ করে, ন্যায়বিচার প্রত্যাশার এই পথে এখনও দেশের অনেক মানুষের আশা, ব্যথা ও সংগ্রাম এক সুতোয় গাঁথা হয়ে আছে।