মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার জুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা এখন যেন একটানা খোঁড়াখুঁড়ির কর্মযজ্ঞ। রাস্তার বড় অংশজুড়ে চলছে বিদ্যুৎ বিভাগের, বিশেষ করে ডিপিডিসির ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের কাজ। মাওতাইল এলাকা থেকে তোলা ছবিতে ধরা পড়েছে সেই কাজের ব্যস্ত দৃশ্য; পাশাপাশি ফুটে উঠেছে ভোগান্তিতে থাকা সাধারণ মানুষের বাস্তবতা। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিত
-
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এই পথে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সাইনবোর্ড থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত অংশে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে মেরামত ও লাইন বদলের কাজের জন্য।
-
রাস্তার মাঝ বরাবর বড় বড় গর্ত, পাশে স্তূপ করে রাখা মাটি সব মিলিয়ে সড়কটি চলাচলের জন্য হয়ে উঠেছে চ্যালেঞ্জপূর্ণ।
-
অনেক জায়গায় দেখা যায়, এক লেন পুরোপুরি বন্ধ। ফলে যানবাহনকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে এক লেন ব্যবহার করে। এতে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
-
ডিপিডিসি কয়েক মাস ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের কাজ করছে। এতে ভবিষ্যতে লাইন ট্রিপিং, ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ঝুঁকিপূর্ণ তারের সমস্যা কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। মাওতাইল–শনির আখড়া অংশেও সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে।
-
তবে কাজটি যতটা জরুরি, তা নিয়ে জনদুর্ভোগও কম নয়। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি দীর্ঘদিন ধরে চলায় যাতায়াতকারী মানুষজন কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে অফিসগামী, শিক্ষার্থী, অ্যাম্বুলেন্স ও পাবলিক পরিবহনের যাত্রীরা নিত্যদিন পড়ছেন বিপাকে।
-
মাওতাইল এলাকায় কথা বললে অনেকে অভিযোগ করেন, রাস্তা খোঁড়ার পর কাজ ধীরগতিতে হয়। অনেক সময় দিনশেষেও গর্ত ঠিকমতো ঢেকে রাখা হয় না, ফলে বৃষ্টি হলে কাদা–পানিতে রাস্তায় তৈরি হয় নতুন সমস্যা।
-
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হলে এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আসবে স্থায়ী উন্নতি। ঝড়ের সময় তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রাস্তার ওপরে তারের জটিলতা কমে যাবে। যদিও এখন পরিস্থিতি কষ্টের, তবে কাজটি সম্পন্ন হলে পুরো এলাকার জন্য এটি হবে নিরাপদ ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার দিকে বড় পদক্ষেপ।
-
মাওতাইল থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত কাজের তীব্র ধাক্কা এখন জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। তবে ছবি দেখলে বোঝা যায় পরিবর্তনের এই চাকা যেভাবেই হোক চলছে। শেষ হলে হয়তো এই সড়কই হবে আরও নিরাপদ ও আধুনিক।