সার্টিফিকেট নয়, সাফল্য খুঁজলেন আমের বাগানে
ডিগ্রি হাতে নিয়ে দীর্ঘদিন চাকরির পেছনে দৌড়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ভিমনগর গ্রামের তরুণ এনামুল হক সজিব। কিন্তু কোথাও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান। হতাশ না হয়ে মা’র পরামর্শে ফিরেছেন মাটির কাছাকাছি। শুরু করেন আধুনিক পদ্ধতিতে বিষমুক্ত আম চাষ। এক সময়ের চাকরিপ্রত্যাশী সজিব আজ সফল উদ্যোক্তা। রাজবাড়ীতে তিনিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদনের মাধ্যমে তৈরি করেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যেখান থেকে প্রতিদিন পৌঁছে যাচ্ছে নিরাপদ ফল সরাসরি ভোক্তার ঘরে। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
একসময় চাকরির পেছনে ছোটার জীবন আজ সফল উদ্যোক্তার গল্প এ যেন বদলে যাওয়া এক অধ্যায়।
-
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ভিমনগর গ্রামের যুবক এনামুল হক সজিব অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করলেও হতাশ হতে হয় বহুবার। তবে থেমে যাননি। মায়ের পরামর্শে হাতে নেন একটি নতুন উদ্যোগ নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম চাষ।
-
প্রথমে বাধা এসেছিল পোকার আক্রমণ, অতিরিক্ত কীটনাশকের খরচ। কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শে বদলে যায় গল্প। শুরু করেন ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ। আর এখান থেকেই শুরু সাফল্যের যাত্রা।
-
চার বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫০ আমগাছ নিয়ে শুরু করা তার বাগানে এখন বারি ফোর, হিমসাগর, হারিভাঙ্গা, কাঠিমন, নবাব পছন্দ, মল্লিকা সহ রয়েছে নানা জাতের আম। আর সবই বিষমুক্ত ও নিরাপদ।
-
এই পদ্ধতির ফলে আমের গায়ে দাগ পড়ে না, পোকা-মাছির হাত থেকে রেহাই, ওজন বেশি, স্বাদও অপূর্ব, দেখতে আকর্ষণীয়, বাজারের তুলনায় কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি দাম পাওয়া যায়।
-
স্থানীয় ক্রেতারাও এখন বাগান থেকেই আম কিনতে পছন্দ করছেন। একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতে তেমনি সুন্দর। কোন কেমিক্যাল নেই, নিশ্চিন্তে খেতে পারি।’
-
সজিব থেমে নেই, পাশে আরও চার বিঘা জমিতে চাষ করছেন কমলা, মাল্টা ও কুল-সবই আধুনিক প্রযুক্তিতে। তার সফলতা দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে ফল চাষে।