জন্মদিনে জেনে নিন মার্ক জুকারবার্গের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য
১৯৮৪ সালের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন এমন একজন মানুষ, যিনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে যাওয়া ফেসবুকের জনক। তিনি শুধু একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নন, ডিজিটাল যুগের অন্যতম পথপ্রদর্শকও বটে। জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক মার্ক জুকারবার্গের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু অধ্যায়, যেগুলো শুধু তার নয়, গোটা প্রযুক্তি দুনিয়ার গতিপথই পাল্টে দিয়েছে। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
২০০৪ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক ডরমরুম থেকে শুরু হয় ফেসবুকের যাত্রা। প্রথমে এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্কিং সাইট, যার নাম ছিল ‘দ্যা ফেসবুক’। বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কানেকশন বাড়ানোর ইচ্ছাই ছিল শুরু করার পেছনের মূল অনুপ্রেরণা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই এটি কেমব্রিজের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দুনিয়ায়। মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের তৈরি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে মানুষের অনলাইন পরিচয় ও যোগাযোগের ধারণাই বদলে দেন জুকারবার্গ।
-
মাত্র ২৩ বছর বয়সেই মার্ক জুকারবার্গ বিশ্বের কনিষ্ঠ স্বনির্মিত বিলিয়নিয়ার হিসেবে ইতিহাস গড়েন। প্রযুক্তি জগতের খেলোয়াড়দের মধ্যে এত অল্প বয়সে এত বড় সাফল্য ছিল নজিরবিহীন। ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি তার ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিও আরও পরিণত হতে থাকে। তিনি শুধু উদ্ভাবক নন, একজন দক্ষ সিইও হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
-
সফলতার পথ কখনোই কেবল ফুলে ফুলে সাজানো থাকে না। জুকারবার্গের জীবনেও এসেছে চ্যালেঞ্জের পর্ব। ফেসবুককে ঘিরে নানা সময় গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ভুয়া তথ্য ছড়ানো এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর মার্ককে মার্কিন কংগ্রেসেও জবাবদিহি করতে হয়েছিল।
-
২০২১ সালে ফেসবুকের মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা প্ল্যাটফর্ম’ রাখা হয়। এর মাধ্যমে জুকারবার্গ স্পষ্ট করেন যে তার দৃষ্টিভঙ্গি এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি ভবিষ্যতের ‘মেটাভার্স’ নির্মাণে মনোযোগী। এই পদক্ষেপ প্রশংসার পাশাপাশি অনেক বিতর্কেরও জন্ম দেয়। অনেকে এটিকে প্রযুক্তির ভবিষ্যতের দিকে এক সাহসী ঝাঁপ হিসেবে দেখেন, আবার কেউ কেউ বলেন এটি বিগত সমালোচনার ধাক্কা সামলানোর কৌশল।
-
পেশাগত পরিচয়ের বাইরে মার্ক জুকারবার্গ একজন বাবা, স্বামী এবং সমাজসেবীও। স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের সঙ্গে মিলে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ’, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কাজ করে। প্রযুক্তির বাইরে সামাজিক দায়বদ্ধতাও যে তার জীবনের একটি বড় অংশ, সেটাই প্রমাণ হয় এই অধ্যায়ে।