মেট্রোরেলে জানাজাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢাকায় নেমেই মেট্রোরেল বেছে নিচ্ছেন। যানজট ও ভোগান্তি এড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই জানাজাস্থলে পৌঁছাতেই তাদের এই উদ্যোগ। ছবি: ইয়াসির আরাফাত
-
চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাসান মুরাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আগত নেতাকর্মীরা ট্রেনে করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে দ্রুত জানাজাস্থলে পৌঁছাতে তারা মতিঝিল মেট্রো স্টেশন হয়ে খামারবাড়ি স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা।
-
একইভাবে খুলনা থেকে সকালে রওনা দিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছান বিএনপিকর্মী সৈকত। তিনি বলেন, লোকাল বাস বা সিএনজিতে গেলে ভিআইপি মুভমেন্ট ও সড়ক বন্ধ থাকার কারণে দেরি হতে পারে। তাই মেট্রোরেল বেছে নিয়েছি। এতে সময় কম লাগবে এবং ভোগান্তিও কম হবে।
-
সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসেন বিএনপিকর্মী এনায়েতুর রহমান, সবুজ মিয়া ও নাজমুল হোসাইন। এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘বাসে এলে দেরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই রংপুর এক্সপ্রেসে করে কমলাপুরে নেমেছি। আমাদের জেলা থেকে অনেকেই এরই মধ্যে জানাজাস্থলে পৌঁছে গেছেন।’
-
এদিকে অনেক নেতাকর্মী লোকাল বাস, মোটরসাইকেল কিংবা ব্যাটারিচালিত রিকশাতেও জানাজাস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। সবারই লক্ষ্য দুপুর ২টার আগেই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছে নির্ধারিত সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেওয়া।দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রেনে ঢাকায় নেমে যানজট এড়াতে এবং দ্রুত জানাজাস্থলে পৌঁছাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ মেট্রোরেলকেই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।