ইলন মাস্ক: জন্মদিনে জানুন তার অভূতপূর্ব যাত্রার গল্প
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এক অনন্য প্রতীক ইলন মাস্কের জন্মদিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্ম নেওয়া এই সাহসী ও অধ্যবসায়ী উদ্ভাবক আজ ‘মানবসভ্যতা’ ও ‘সৌরজগত’ অতিক্রম করে আগামীর সীমানা স্পর্শ করছেন। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
-
মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের লেখা ভিডিও গেম ‘ব্লাস্টার’ বিক্রি করেন ৫০০ ডলারে। সেই কৌতূহল ও উদ্যোক্তা মনোভাবেই জন্ম নেয় ক্লাসিক সূত্র: ‘ড্রিম বিগ’ শুধু ভাবি না, কর্মের মাধ্যমে বাস্তব করি।
-
২০০৪ সালে টেসলায় যোগদান করে ইলন বদলে দেন গাড়ি তৈরির কল্পনা। ল্যাগজারি সেডান থেকে সস্তার মডেল ৩, এখন পর্যন্ত টেসলা বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপ্লব করেছে। শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, সক্রিয়ভাবে সাস্টেইনেবল এনার্জি (সূর্যবিদ্যুৎ ও স্টোরেজ) ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে।
-
২০০২ সালে ‘স্পেসএক্স’ প্রতিষ্ঠা করেন ট্রান্সপোর্ট দক্ষতা ও মহাকাশশিল্পে ব্যয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে। ২০০৮ সালের ফ্যালকন ১ সাফল্য, ফ্যালকন ৯-এর পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট, আর ড্রাগন ক্যাপসুলের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্থানে যাত্রার গল্প-সবই প্রমাণ করে ইলন শুধু স্বপ্ন দেখেন না, বাস্তবে তা সত্যি করেন।
-
টেক্সাসের শহরগুলিতে ট্র্যাফিকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘দ্যা বোরিং কোম্পানি’ মাটির নিচে সোলার শক্তিতে চলে এমন টানেল তৈরি করছে। এটি শুধু চমক না, বাস্তব আর শহর জীবনকে করণীয় ভাষায় উন্নত করছে।
-
মঙ্গলগামী ‘স্টারশিপ’ রকেটের সাহায্যে মানবকে ‘মাল্টিপ্ল্যানেটারি’ জীবতায় রূপান্তরকেই ইলন তার জন্মদিনে সেরা উপহার মানেন। একদিন মঙ্গলেও ফুলের গন্ধ না হোক, সম্ভবত মানুষের অস্তিত্ব থাকবে-এই ধারণাটিকে বাস্তব করার পথেই আছেন তারা।
-
বিভিন্ন বিতর্ক, টুইট ও সামাজিক বিতর্কে জড়িত থাকলেও, ইলন প্রমাণ করেছেন যে ‘বড় স্বপ্ন’ বাস্তবের পথেও হাসি, কান্না ও বিতর্ক সবই থাকে। আর পরিবর্তন দায়সাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ, এটি স্বীকার করেই তিনি এগিয়ে চলেন।