চুয়াডাঙ্গার পুরোনো বাইকের হাটে নতুন স্বপ্ন
প্রতিটি শুক্রবার সকাল থেকে সরগরম হয়ে ওঠে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর শহরের রেলস্টেশনসংলগ্ন বাস টার্মিনাল এলাকা। জায়গাটা যেন রূপ নেয় পুরোনো মোটরসাইকেলের এক অঘোষিত উৎসবে। দালাল ও বিক্রেতাদের কণ্ঠে ভেসে আসে দাম হাঁকার আওয়াজ, আর ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখে যাচ্ছেন একের পর এক বাইক। ছবি: হুসাইন মালিক
-
হোন্ডা, বাজাজ, হিরো থেকে শুরু করে ইয়ামাহা, টিভিএস-কী নেই এখানে! ৫০ থেকে ১৫০ সিসি পর্যন্ত দেশি-বিদেশি মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকার মধ্যে।
-
হাট কমিটির তথ্য বলছে, সপ্তাহে গড়ে ৭০০-৮০০টি বাইক আসে, যার মধ্যে ১০০-১৫০টি বিক্রি হয়ে যায়। এই একদিনেই লেনদেন হয় প্রায় ১ কোটি টাকার মতো।
-
পুরোনো বাইক সংগ্রহ, রিকন্ডিশন, পরিবহন, বিক্রি-সব মিলিয়ে কয়েক শ’ মানুষের জীবিকা এই হাটকে ঘিরেই। কেউ নিজেই বাইক ঠিক করে বিক্রি করেন, কেউ আবার দালাল হিসেবে কাজ করে আয় করছেন মাসে ভালো অঙ্কের টাকা।
-
এই হাটে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো বড় ধরনের ঝামেলার খবর নেই। নিয়ম মেনে চলে হাট। কাগজ যাচাই না করে বাইক বিক্রি নয়-এই নিয়ম মানতে হয় সবাইকে। পুলিশের নজরদারিও রয়েছে নিয়মিত।
-
চুয়াডাঙ্গার বাইরেও ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও যশোর থেকেও মানুষ আসেন এই হাটে। এটি এখন কেবল হাট নয়, আঞ্চলিক পুনর্ব্যবহৃত বাইক বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
-
সবাই হয়তো নতুন বাইক কিনতে পারেন না, আবার পুরোনোটা বিক্রি করে নতুনটা কেনার সুযোগ চায় অনেকেই। এই হাট যেন তাদের স্বপ্নপূরণের ঠিকানা। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার একটা পথও খুলে দেয় এ জায়গা।