সরকার ও বিএনপির সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট দূর করবে: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ১৪ জুন ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ইতিবাচক অভিহিত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, এই সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।

শুক্রবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বৈঠক একটি বড় অগ্রগতি। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এপ্রিলের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব আসা এবং প্রধান উপদেষ্টার শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার অঙ্গীকার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। এজন্য আমরা উভয় নেতাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ বিষয়ে বিএনপির নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে—এটি দেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রচর্চার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া স্বৈরতন্ত্রমুক্ত একটি বাংলাদেশের ভিত্তি গঠনে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আশাবাদ ব্যক্ত করে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আজকের এই সংলাপের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং একটি বৃহত্তর ঐকমত্য গড়ে উঠবে।

তবে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বক্তব্যের ভাষা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষায়, প্রফেসর ইউনূস হলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। অন্যদিকে তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। এমন বাস্তবতায় তাদের সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও একে ‘যৌথ বিবৃতি’ বলা রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শোভনীয় নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এককভাবে বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এএএম/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।