জামায়াত নেতা আহছানউল্লাহ
জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিমের সদস্য আহছানউল্লাহ ভূঁইয়া বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক ও জনতার রক্ত এবং আন্দোলনের ফসল জুলাই সনদকে পাশ কাটিয়ে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহছানউল্লাহ এ কথা বলেন।
জামায়াত নেতা বলেন, জনগণের ভোটের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে হলে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি ছাড়া বিকল্প নেই। একতরফা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ এবার চলবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার না হলে জাতি শান্তি পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খায়রুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুন
কূটনীতিকদের আগ্রহে জামায়াত, কী জানতে চাইছেন তারা?
আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার শামিল
আগামী নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম জানান, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে শ্রমিকদের ত্যাগ অনেক বেশি, কিন্তু স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন এখনো সেভাবে হয়নি। শ্রমিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আন্দোলন গণবিস্ফোরণে রূপ নিয়েছিল। সর্বাত্মক প্রতিরোধ ও প্রতিবাদে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। পোশাকশ্রমিকরা তাদের কারখানা ছেড়ে রাজপথে নেমে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে শ্রমিকদের অনেকেই নিহত এবং পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেন। তাদের ব্যাপক আত্মত্যাগের ফলেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হয়েছিল। তাদের ব্যাপক ত্যাগ-কোরবানির মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, কিন্তু তাদের অবদানের সঠিক স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন এখনো হয়নি।’
এমআরএএইচ/একিউএফ/জেআইএম