বিএনপির আন্দোলনও প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৮

বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির জন্য দলটিকে জনগণ নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল তাদের (বিএনপি) বিক্ষোভ, এই বিক্ষোভে তাদের কর্মীরাও নামেন কিনা, আমি জানি না। কারণ কর্মীরা তো তাদের যার যার এলাকায় দেখেছে, কীভাবে নির্বাচন হয়েছে। তাদের এই আন্দোলনের ডাক জনগণ নির্বাচনে যেমন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, জনগণ তাদের আন্দোলনকেও প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি বলেন, আমরা আগেরবার ক্ষমতায় থাকতে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি প্রার্থীরা জয় লাভ করেছিল। এবার আমরা চারটিতে জিতেছি তারা জিতেছে একটিতে। তারা এবার ১/৫ অংশে জিতেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৯০ ভাগ আমরা জয় করেছি। এর অর্থ সিটির ৫ ভাগের ৪ ভাগ জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন ও অর্জনের রাজনীতিতে গ্রহণ করেছে। বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে বর্জন করেছে। জনগণের ওপর বিএনপির কোনো আস্থা নেই। কাজেই তারা কি করে প্রত্যাশা করে জনগণ তাদের ভোট দেবে।

সিলেটে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের নামে বিএনপি গত কয়েকদিন নাটক আর তামাশা, তামাশা আর নাটক করেছে। ইভিএম সেন্টারগুলোতে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় নৌকার জয় এটাই প্রমাণ করেন সারোয়ার সাহেব পরাজয়ের ভয়ে এই নির্বাচন থেকে তিনি সরে পড়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির প্রার্থী পাশ করেছে। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। সেখানে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই তাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। আমরা জানতে চাই বিএনপি প্রার্থী কি সেখানে পুনর্নির্বাচন চান?

তিনি বলেন, কুমিল্লা ও সিলেট সিটিতে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। সিলেটে আমরা প্রায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলাম। আমি বলেছিলাম ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের জয় নিশ্চিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন অর্জন শহরগুলোর জনমনে প্রভাব ফেলেছে। সিলেটকে আমরা হার মনে করছি না, কারণ আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলাম।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তখন সরকার কোনো মেজর পলিসি মেকিং ডিসিশনে অংশ নিতে পারবে না। রুটিন ওয়ার্ক করবে। সরকারের ক্ষমতা আরও সংকুচিত হয়ে যাবে। এখনকার যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা অনেক সংকুচিত হয়ে যাবে, সীমিত হয়ে যাবে। তখন নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূল দায়িত্বে, লেভেল প্লেইং ফিল্ডসহ সব কিছু নির্বাচন কমিশনের। কাজেই এমন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। যদি একটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। তবে আমাদের বিশ্বাস বিএনপি বর্জন করলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে।

তারা নির্বাচনে নির্বাচন করার জন্য আসেনি। তারা নির্বাচনে এসেছে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত করার জন্য। নীল নকশা তো তারা সরকারকে বলেছে, আমরা বলতে চাই তারাই এই নির্বাচনকে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যে নীল নকশা করেছিল সেই নীল নকশা এ দেশের জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে, ভণ্ডুল করে দিয়েছে। এখন তারা সিলেটেরটাও পুনর্নির্বাচন দাবি করুক? দুটো কেন দাবি করছেন? এখন আর তারা প্রত্যাখ্যানের কথাও বলেন না, পুনর্নির্বাচনের কথাও বলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।