একুশ ও ভালাবাসায় রঙিন আড়ং
কি হবে ভালবাসা দিবস কিংবা ফাল্গুনের পোশাক? অথবা একুশের পোশাক? পোশাকের রঙ ও নকশায় একটু ভিন্নধর্মী না হলে কি হয়? সবার কাছে পছন্দের, এমন পোশাকই পড়তে চায় সবাই। আর পছন্দের সব পোশাকই পাওয়া যাবে আড়ংয়ে। আড়ং ঘুরে পোশাকের উৎসবের আমেজ পাবেন যে কেউ।
সোমবার রাজধানীর আসাদগেট সংলগ্ন আড়ং ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ফাল্গুন ও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে। থ্রি পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি ফতুয়া, কোর্তা তাগা, টপস, টিশার্টসহ বাচ্চাদের পোশাকের সবই মিলছে আড়ংয়ে।
আড়ং মার্কেটিং বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো দিবস কিংবা বিশেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের পছন্দ বুঝে পোশাকে ভিন্নতা আনে আড়ং। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যেও তাই। কালেকশনে প্রাধান্য পেয়েছে কালো, লাল ও সাদা রঙের সব বয়সীদের জন্য হরেক রকমের পোশাক। এসব পোশাকে রয়েছে বাংলা অক্ষর, অ্যামব্রয়ডারি ও লেইসের কারুকাজ। পোশাক ছাড়াও আড়ংয়ে থাকছে ঘরবাড়ি সাজানোর বিভিন্ন প্রকার আনুষঙ্গিক।
দাম ও সাধ্যের মধ্যে। তবে পোশাকের ডিজাইন ও কারুকার্যের কারণে কোনো কোনো পোশাকে দাম একটু বেশি। আড়ংয়ের শো রুমের প্রথম ফ্লোরে কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী এএম শামসুল আলমের সঙ্গে। স্বস্ত্রীক কেনা-কাটা করতে এসেছেন তিনি।
তিনি জাো নিউজকে জানান, বিভিন্ন দিবসে স্ত্রী ভিন্নধর্মী পোশাক পরতে পছন্দ করে। স্ত্রীকে তাই বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শাড়ি ও থ্রি-পিস উপহার দিতেই স্বশরীরে এখানে আসা। দুই হাজার টাকায় থ্রি-পিস ও চার হাজার টাকায় শাড়ি কিনেছেন তিনি।
আফসানা খাতুন ছেলে আবিরকে নিয়ে এসেছেন আড়ংয়ে। তিনি জাগো নিউজকে জানান, ভাষার মাসে ছেলেক বর্ণমালা অক্ষরের টি-শার্ট আর ফতুয়া উপহার দিতে চান তিনি।
ভাষার মাসে শৈল্পিক মনের তুলিতে ছেলেদের বিভিন্ন টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবির পাশাপাশি মেয়েদের পাঞ্জাবি, টপস, সেলোয়ার-কামিজে ফুটিয়ে তুলেছে বাংলা ভাষার প্রতিকৃতি।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অঞ্জন জাগো নিউজকে বলেন, আমি টি-শার্ট বেশি পরতে পছন্দ করি। শীত চলে যাচ্ছে। ভাষার মাসে আমার ভাষার আমেজের টি-শার্ট কিনতে এসছি। দু`টি টি-শার্ট কিনেছেন সাড়ে ৮শ` টাকায়।
আসাদগেট আড়ংয়ের ফ্লোর ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম সাজ্জাদী জাগো নিউজকে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সার্বজনীন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ কারণে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পোশাকের দোকান ও বুটিকগুলো ভাষা আন্দোলনের মাসে তৈরি করে আসছে নতুন নতুন পোশাক। এক্ষেত্রে আড়ং পিছিয়ে নেই বরং এগিয়ে।
বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাসে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গর্বের বিষয়সমূহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলা বর্ণমালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত আদি বাংলা বর্ণমালাও ব্যবহৃত হয়েছে।
শুধু একুশে ফেব্রুয়ারিতেই নয়, ভালবাসা দিবস, ফাল্গুন উপলক্ষ্যেও নতুন ও ভিন্ন ধর্মী পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে। সব বয়সীর পোশাক মিলবে আড়ংয়ে। ডিসপ্লেতে এক মাস ধরে নতুন এসব পোশাক রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহ ধরে এখানে বিক্রিও বেড়েছে।
জেইউ/এমজেড/পিআর