কাউন্সিলের আগেই বিএনপি নেতাদের মুক্তি দিন


প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচরপতিকে অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির যেসব নেতা কারাগারে আছেন জাতীয় কাউন্সিলের আগেই তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

তিনি বলেন, সামনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল হবে। এটা ভাল কথা, কাউন্সিল হলে দলগুলোর মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চার হবে। নেতৃত্বে নতুনত্ব আসবে, তাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন হবে।

এমাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ৭০টি মামলায় মুক্ত হওয়ার পরও আরেকটি মামলা তার ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা কোন সভ্য দেশে হতে পারে না। জামিনের পর তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তার পিছনে কিছু একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার সঙ্গে সেটি মানায় না। আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ করে, এর আগে আমি আমার মৃত্যু কামনা করব।

নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থ মন্তব্য করেেএমাজ উদ্দিন বলেন, কয়েক ধাপে নির্বাচন হলেও ফলাফল একই দিনে দেয়া উচিত। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় থাকবে। ভারতে কয়েকদিনে নির্বাচন হলেও ফলাফল একদিনে প্রকাশ করা হয়। এমন ব্যবস্থা না করলে সংঘাত অনিবার্য।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সামবেশে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহ, কল্যাণ পার্টির নেতা সাইদুর রহমান তামান্না, ওলামা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।