বিএনপির সব কর্মসূচির সময় আমরা পাহারায় থাকবো: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক/ছবি: পিআইডি

বিএনপির সব কর্মসূচির সময়ে আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সব কর্মসূচির সময়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবো। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকবো। এ দেশে আর কখনো ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেবো না।’

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় বিএনপির আগামী দিনে কর্মসূচির ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির কাছে প্রত্যাশা কী এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আজ ৪ জানুয়ারি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু। সুতরাং ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে সংগঠনটির সব স্তরের নেতাকর্মীদের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’

বাংলাদেশের ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীসময়ে দেশ গঠনসহ সবক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা।

jagonews24

এর আগে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, কানেকটিভিটি এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিমবাংলায় দেখাতে পারে না। মূলত সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছরপ্রতি কোটি টাকা দাবি করে, যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

তিনি আরও জানান, পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বায়োপিক, দুদেশের যোগাযোগ বিশেষ করে আগরতলা-আখাউড়া ট্রেন রুটের অগ্রগতি, আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলোতে ভারতের বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। সেই সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য ও নাগরিকরা জীবন দিয়েছেন। সুতরাং দুদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যায় কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হয়, সেটিকে আরও কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। হাইকমিশনার এসব বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

আইএইচআর/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।