ডিজিটাল হচ্ছে মহেশখালী

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালী। ৩৬২.১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপটি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী প্রকল্প গ্রহণ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

প্রত্যন্ত এলাকায় এমন একটি প্রকল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে তা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কোরিয়ার টেলিকম জায়ান্ট কোরিয়ান টেলিকম (কেটি) ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাউগ্রেশন (আইওএম)।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে স্পেনের বার্সিলোনায় ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে-২০১৬  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, কোরিয়ান টেলিকম ও আইওএম এর মধ্যে কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশীদ, কোরিয়ান টেলিকমের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন জিন উন ও আইওএম এর চিফ অব মিশন শরৎ দাস স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের আইটি/আইটিইএস টিম লিডার সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মূহুর্ত। কোরিয়ান টেলিকম, আইওএম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক সঙ্গে কাজ করে দেশের একটি প্রত্যন্ত ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপকে ডিজিটালে পরিণত করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মহেশখালী দ্বীপের প্রান্তিক মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটানো। মহেশখালী দ্বীপের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যেমন ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসা হবে তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে এ এলাকার মানুষকে দেয়া হবে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জীবন ও জীবিকার নানা সেবা।

পলক আরো বলেন, কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পটিকে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। যাতে অন্যান্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাকে ডিজিটালে রূপান্তরে এই মডেলটি অনুসরণ করা যায়।   

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত অর্থবহ উল্লেখ করে কোরিয়ান টেলিকমের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন জিন উন বলেন, আমরা আনন্দিত যে, মহেশখালী আইল্যান্ডকে ডিজিটালে পরিণত করার জন্য কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।

আইওএম-এর পরিচালক মিস লরা বলেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

চুক্তি অনুসারে কোরিয়ান টেলিকম উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যাকবোন অবকাঠামোসহ মহেশখালী ও কক্সবাজার এলাকার মানুষের চাহিদা বিশ্লেষণ করে পর্যটন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ধরনের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে আইওএম এ এলাকায় মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সরকারের অন্যান্য সংস্থা, কেটি ও আইওএম এর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।   

একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।