লোকাল বাসে রিমান্ডের আসামি নেয়ার ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৬:২৭ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মোহাম্মদপুর থানার প্রত্যাহারকৃত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুক।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, “প্রত্যাহারকৃত ওই তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে তদন্ত। কেন তারা রিমান্ডের আসামিকে আদালত থেকে থানায় আনার ক্ষেত্রে প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করেননি।”

তিনি আরো বলেন, “শুধু তাই নয়, বিকল্প পরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তারা থানা পুলিশকেও কিছু জানাননি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুর করা চুরির ঘটনার ২ আসামিকে লোকাল বাসে থানায় আনার ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রত্যাহার করে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোহাম্মদপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান, কনস্টেবল মোতালেব ও আব্দুল লতিফ।

গত সোমবার বিকেলে নিম্ন আদালত থেকে দু’জন রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মোহাম্মাদপুরগামী তরঙ্গ লোকাল বাসে মোহম্মদপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জাগো নিউজের ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ‘লোকাল বাসে রিমান্ডের আসামি!’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়।

বিষয়টি নজরে নিয়ে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যহার করে নেয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুককে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
 
এর আগে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, থানা থেকে প্রিজনভ্যান গিয়ে আসামিদের নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা থানাকে কোনো ধরণের তথ্য না দিয়ে অনুমতি না নিয়ে ওই দুই রিমান্ডের আসামিকে প্রথমে সিএনজিতে পরে বাসে উঠিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়।
 
“এতে করে আইনি শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটেছে। তাই তাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল কি না সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত করার কথা জানিয়েছিলেন।”
 
জেইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।