একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রবজ্যোতি
প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে বাড়ির পথে যখন হাটছিলেন তখন কিশোর পিজের মাথায় একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল। অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিলে এক রাতের জন্য সে কি সত্যি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিল। নিজেকে বিশ্বাস করতে না পেরে শরীরে চিমটিও কাটেন এই কিশোর। পরে নিশ্চিত হন সত্যিই একদিনের জন্য হলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রবজ্যোতি লক্ষণ পাল।
এজন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেক এ উইশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক ওই কিশোর। তিন বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছে সে।
পালের বাবা সুরিন্দর লক্ষণ পাল। ১৯৮৮ সালে পিজের দাদা পাঞ্জাবের মান্ডি আহমেদগড় থেকে কানাডায় চলে আসেন। বর্তমানে তারা ব্রমপটনের বাসিন্দা। সুরিন্দর জানান, আড়াই বছর আগে তার ছেলে যখন হাসপাতালে তখন কানাডার সংস্থা ‘মেক এ উইশ’র সঙ্গে তাদের পরিচয়। সংস্থাটি যে সব শিশু-কিশোর মরণব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করে। এ সংস্থার কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল প্রবজ্যোতি লক্ষণ পাল। পরে ওই সংস্থার পক্ষ থেকেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা পাকা হয়ে গেছে জানার পর ছেলে, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে অটোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন সুরিন্দর। টরেন্টো বিমানবন্দরে যখন নামেন তখন সেখানে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন। এরপর একটি কনভয় পালকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় তাকে নিয়ে যায় পার্লামেন্ট হিলের কাছে শাতু লরিয়ে হোটেলে। সেখানে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে তার থাকার ব্যবস্থা হয়। পরদিন কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টন প্রবজ্যোতিকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রবজ্যোতি চায় বড় হয়ে সে একজন সফল রাজনীতিক হবে। দেশের সেবা করবে। সেই স্বপ্ন একদিনের জন্য যে পূর্ণ হয়েছে, তাতে খুশি সে।
এসআইএস/আরআইপি