৯ মৎস্য ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে জাটকা ইলিশ, জেলি পুশকৃত চিংড়ি ও নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৯ জন মৎস্য ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করেছেন র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাব-১০ এর সিপিএসসি কোম্পানির সিনিয়র এএসপি আ ত ম আব্দুল্লাহেল হাদীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী অবৈধভাবে জাটকা ইলিশ, নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ ও চিড়িং মাছের ভিতর জেলি প্রবেশ করিয়ে আড়ৎজাত করে আসছিল।
অভিযানে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর বিধান লঙ্ঘন ও ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইন অনুযায়ী সরকারি আদেশ অমান্য করার অপরাধে ব্যবসায়ী মো. বাবুল সর্দারকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পিন্টু হাওলাদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, আজিজুল হক লেবুকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, আনিসুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, কিবরিয়া ও রুবেল ইসলামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দীপক দেবনাথকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া চিংড়ি মাছের ভেতরে জেলি প্রবেশ করিয়ে বাজারজাত করার অপরাধে আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিধান অনুযায়ী নেয়ামত আলী শেখ (২৭) ও আলাউদ্দিন গাজীকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
অভিযানে আদালত ১ টন জাটকা ইলিশ, ২ টন জেলি পুশকৃত চিংড়ি ও ৫ টন আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণের আদেশ দেন।
জেইউ/একে/পিআর