ফজলে কবিরকে গভর্নর করে সরকারি আদেশ জারি


প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

সাবেক অর্থ সচিব ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে কবির আগামী ৪ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বুধবার বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে সরকার।

একইসঙ্গে দুই ডেপুটি গভর্নরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ১৫ মার্চ থেকে বাতিলের আদেশও জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ধামাচাপার দেয়ার অভিযোগে আতিউর রহমানের কাছে গভর্নরের পদ ছাড়ার আনুষ্ঠানিক আদেশ বুধবার আসে।  

আতিউরের পদত্যাগের পর দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও নাজনীন সুলতানাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলমকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।

অন্য সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন ফজলে কবির।

আতিউরও ২০০৯ সালে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তা শেষ হওয়ার আগে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। নতুন গভর্নরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে আদেশে বলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফজলে কবির। তার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফজলে কবিরের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮০ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে। এর তিন বছরের মাথায় প্রশাসনে যোগ দেন তিনি।

২০১২ সালে অর্থ সচিবের দায়িত্বে আসার আগে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন তিনি। গভর্নর ফজলে কবিরের স্ত্রী মাহমুদা শারমিন বেনু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

ডেপুটি গভর্নর কাশেম ও নাজনীনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ১৫ মার্চ থেকে বাতিল করা হয়েছে। তাদের নিয়োগের মেয়াদ আগামী অগাস্ট ও জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এসএ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।