কেসিসির বরখাস্তকৃত মেয়রসহ ৬ জনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং খুলনা মহানগরী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীসহ ছয়জনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ এ নির্দেশ দেন। অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও তারা আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় আদালত অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের সরকারি রেজিষ্ট্রেশন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস।

তিনি জানান, অস্থাবর সম্পত্তি অন্য যে পাঁচজনের ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা হলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ গাউছুল আজম গাউছ, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেএম হুমায়ূন কবীর, মো. শাহীন ও মো. গাউছ। এ চারজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও খুলনা মহানগরী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীরও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

জিআরও মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। খুলনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক অনুকুল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে বিএনপি জামায়াতের ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও আড়াইশজনকে আসামি করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার দায়ের করেন।

২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার পাল মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় খুলনার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করে।

আলমগীর/এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।