এখনই কেন ওদের ধরা হলো?


প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৬

অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধই হলেন বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই তাদের তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ করা হলো কেন? এমন প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী।

শুধু সোহাগ গাজীই নয়। এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারসহ হাজারো ক্রিকেট প্রেমীরা। সানি-তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সোহাগ গাজী দুঃখ করেই জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওদের বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা এটা কি আইসিসি আগে দেখে নাই? ওরা তো এবারই প্রথম খেলছে না। প্রায় দুই বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। বিশ্বকাপের আগেই কেন? আমার কথাই ধরেন, ভালোই খেলছিলাম। হঠাৎ করে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে আমার বোলিংয়ে ত্রুটি ধরা হলো। শুধু আমাকেই নয় সাঈদ আজমল, সুনীল নারিন, সচিত্রা সেনানায়েকে-কেও; কিন্তু কথা হচ্ছে, ধরা হবে যখন, তখন সেটা বিশ্বকাপের আগেই কেন?’

একজন ক্রিকেটারের জীবনে বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে খেলতে পারা অনেক বড় স্বপ্নপূরণ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ঠিক আগেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ত্রুটি ধরায় সে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় সোহাগ গাজীর। তাই আইসিসির এ নিয়মে দুঃখ করে তিনি জাগো নিউজকে আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলা একজন খেলোয়াড়ের জীবনে স্বপ্নের মত। সবার ভাগ্যে তা জোটেনা। বিশ্বকাপের আগে না ধরে শুরুতেই ধরলে আমরা সুযোগ পেতাম, ভালোভাবে ফিরে আসার।’

উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার। এরপর দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইসিসিও। এরপর গত ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিন চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে আসেন। সানির পরীক্ষার ফলাফল সপ্তাহ পর দিলেও তাসকিনের ফলাফল পাওয়া গেল মাত্র চার দিনের মাথায়। আর এতে নিষিদ্ধ হন দু’জনই।

আরটি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।