যুক্তরাজ্য

লেবার সরকারের আশ্রয়ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে দলীয় এমপিদের অসন্তোষ

এস ইসলাম
এস ইসলাম এস ইসলাম , লন্ডন থেকে
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবি-সংগৃহীত

ব্রিটেনের আশ্রয় ও অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর লেবার সরকারের ভেতর থেকেই তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্রসচিব শাবানা মাহমুদ ছোট নৌকায় করে চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অনিয়মিত অভিবাসন থামাতে দেশের আশ্রয়ব্যবস্থায় কঠোর সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুসরণে তৈরি করা এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা, ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এবং শরণার্থী মর্যাদা প্রদানের মানদণ্ডে পরিবর্তন—যা অনেকের কাছে বেশ কঠোর বলে মনে হয়েছে।

তবে এই পদক্ষেপগুলোকে ঘিরে এরই মধ্যে অন্তত নয়জন লেবার ব্যাকবেঞ্চ এমপি খোলাখুলিভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমালোচকদের মতে, নতুন নীতিগুলো সমাজে বিভাজন বাড়াতে পারে এবং বর্ণবৈষম্য ও বৈরিতার পরিবেশকে আরও উসকে দিতে পারে।

নটিংহাম ইস্টের এমপি নাদিয়া হুইটোম প্রস্তাবগুলোকে ‘ডিস্টোপিয়ান’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে যে ডেনমার্ক-ধাঁচের নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। যে মানুষগুলো অকল্পনীয় দুর্ভোগ সয়ে ব্রিটেনে আশ্রয় চাইছেন, তাদের অধিকার ও সুরক্ষা একটি লেবার সরকার এভাবে ক্ষুণ্ন করবে—এটা লজ্জাজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা নিজেরাই জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসতাম, তাহলে কী এভাবে আমাদের সঙ্গে আচরণ দেখতে চাইতাম? অবশ্যই না।’

লেবার নেতৃত্ব যেখানে আশ্রয়প্রক্রিয়াকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ বলে বর্ণনা করে কঠোরতা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে, সেখানে দলের বহু সদস্যই মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন—যা সরকারের অভ্যন্তরে নতুন রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]