জাতিসংঘ সদর দফতরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জাতিসংঘ সদর দফতরে ৫মবারের মতো আন্তর্জাতিক আবহে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিশর, জর্ডান, লিথুনিয়া ও নিউজিল্যান্ড এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে জাতিসংঘ ওয়েভ টেলিভিশন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন। সহ-আয়োজক দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বহুভাষিক সমন্বয়কারী, জেনারেল অ্যাসেম্বলি, কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।

এছাড়া, ইউনেস্কো মহাপরিচালকের ভিডিও বার্তা এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বার্তা উপস্থাপন করা হয় ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটিতে। স্প্যানিশ ভাষাভাষী বন্ধু প্রতিম দেশগুলোর পক্ষে এ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ উৎসর্গকারী ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ‘ভাষা শহীদদের এই আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করেছে। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।’

যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাবনা রেখেছেন তাও উল্লেখ করেন তিনি।

বক্তারা বহুভাষিকতার গুরুত্ব, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ এবং শিক্ষা ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিবিদ, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল।

এসএস/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]