মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন কায়রো
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি- জাগো নিউজ

বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রাজধানী কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতা।

দূতাবাসে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামসহ প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিজ্ঞাপন

তবে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। মোহাম্মদ ফেরদৌসের উপস্থাপনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন আল- আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ আলাল উদ্দিন ও ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন ফাহিম আহমেদ।

এরপর অমর ভাষা শহীদরে স্মৃতির উদ্দশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া ঢাকা থেকে পাঠানো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

মূল অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ওমামা ওয়াসিফা। আলোচনায় অংশ নেন মিশরস্থ বাংলাদেশ স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ভাষা শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজ বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

রাষ্ট্রদূত বলেন, এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

অমর একুশ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী, প্রবাসী নাগরিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং শিশু-কিশোররা দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, অভিনয় ও স্মৃতিচারণা উপস্থাপন করেন।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com