‘জীবন নদী’

মো. ইয়াকুব আলী
মো. ইয়াকুব আলী মো. ইয়াকুব আলী
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ১৯ মার্চ ২০২৩

এই মহাবিশ্বের কোনো কিছুই স্থির না বরং সদা পরিবর্তনশীল। আর এটাই ধ্রুব সত্য এর ব্যতিক্রম নেই। মহাবিশ্বের গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, গ্রহাণুপুঞ্জ সর্বদা এক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। ঠিক একইভাবে আমাদের মানব সমাজও সদা পরিবর্তনশীল। সৃষ্টির সেই আদি থেকে কতশত পরিবর্তনের পর আমরা আজকের এই অবস্থায় এসেছি। আরও কতশত পরিবর্তন ঘটা বাকি।

পরিবর্তন ঘটছে প্রকৃতিতে, পরিবর্তন ঘটছে প্রযুক্তিতে আর সেইসঙ্গে পরিবর্তন ঘটছে আমার জীবনযাত্রায় এবং মন ও মননে। কোনো পরিবর্তন ভালো আর কোনো পরিবর্তন মন্দ এটা বিচার করতে যাওয়া বোকামি। আপাতদৃষ্টিতে যেটা ভালো মন হচ্ছে সেটাই হয়তোবা একটা সময় খারাপ বলে বিবেচিত হবে আবার এখনকার সবচেয়ে ভালোটাও এক সময় হয়তোবা চরম খারাপ বলে বিবেচিত হতে পারে।

আমাদের এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের আর ক্ষমতায় বা কতখানি। তাই জীবনযাপনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সময়ের সাথে নিজেকে মেলে ধরা। অনেকটা স্রোতের নদীতে ভেসে যাওয়ার মতো। আপনি স্রোতে ভেসে না যেয়ে কিনারে ওঠার চেষ্টা করতেই পারেন সেটা আপনার নিজস্ব বিবেচনা। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে নদী যতই খরস্রোতা হোক না কেন তার গন্তব্য কিন্তু সেই মোহনায়।

এরপর তার সব বাহাদুরি শেষ। আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমার জন্ম যতই বনেদি পরিবারে হোক না কেন, আমার ঝোলায় যতই ডিগ্রি থাক না কেন, আমার সন্তান সন্ততি যতই নামজাদা হোক না কেন, আমার যতই শান শওকত থাক না কেন আমাকে আপনাকে কিন্তু সেই মৃত্যুই গ্রাস করবে একদিন। পাশাপাশি প্রকৃতির নিয়মেই জন্ম নেবে নতুন মানব শিশু এবং সেও একইভাবে একই পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে।

মাঝের এই সময়টুকুতে শুধুই ছেলেখেলা। আমি আপনি হয়তোবা নিজের ইচ্ছেই খেলে যাচ্ছি অথবা কোনো এক অসীম শক্তি আমাকে আপনাকে তার খেলার পুতুল বানিয়ে খেলছে। আমি আপনি আজ এখানে তো কাল অন্যখানে। পৃথিবীর কোনো কিছুই আমার আপনার জন্য ফিক্সড না শুধু ঐ শেষ পরিণতিটা ছাড়া। আপনি যদি আপনার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটার দিকে নজর দেন তাহলেই বুঝতে পারবেন এই ধ্রুব সত্যটা।

আপনি হয়তোবা কোনো কিছু অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত আদৌও আপনার হবে কি না সেই নিশ্চয়তা কিন্তু আপনার মন আপনাকে দেবে না কারণ মানব মন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। আসলে কি বস্তু না কি অন্যকিছু? আবার আপনি চাইলেই কল্পনায় অনেক কিছুরই মালিক বনে যেতে পারেন। সেটাও আপনার নিজস্ব ধ্যান ধারণার ওপর নির্ভর করছে। তার মানে আপনার নিজের জীবনের নিয়ন্তা আপনি? না কি কোন অদৃষ্ট শক্তি। প্রকৃতি বড়ই রহস্যময়।

আর এই রহস্যময়তাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। জীবনে যদি এইসব রহস্য অনিশ্চয়তা না থাকতো তাহলে জীবনটা একেবারে কূয়োর পানির মতো স্থবির হয়ে যেতো। সেখানে জীবনের এই বয়ে চলার কোনো অস্তিত্ব থাকতো না। তার তলায় জমতো শ্যাওলা। আর সেই শ্যাওলায় হয়তো একসময় পুরো জীবনটাকে গ্রাস করে নিতো। উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন তারা জীবনটাকে সহজ করার জন্য অহোরাত্র কাজ করে চলেছে।

এতে করে জীবন থেকে চার্ম বলেন বা হঠাৎ উত্তেজনা বলেন সবই বিদায় নেওয়ার পথে। জীবনকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য যে নেগেটিভ ব্যাপারগুলো কতটা জরুরি সেটা আমি বুঝেছি দেশান্তরি হবার পর। এছাড়াও পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। যে রাষ্ট্রের জীবনযাত্রা যত বেশি উন্নত সেই রাষ্ট্রের স্বেচ্ছামৃত্যুর হার ততবেশি কারণ একঘেয়েমি জীবনযাপনে তারা একসময় ক্লান্ত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। দেখবেন উন্নত বিশ্বের কিছু কিছু মানুষ অনেক সময় গরিব দেশে যেয়ে সেই দেশের সাধারণ মানুষের জীবন বেছে নেন। এই মানুষগুলো বুঝতে পারেন জীবনের আসল মানে কি? কিন্তু সুরক্ষিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত অনেকেই সেই ঝুঁকিটা নিতে সাহস পায় না।

যাইহোক বাস্তবতায় ফিরে আসা যাক। ছোটবেলায় যখন আমরা পাড়ার সব ছেলেরা মিলে দলবেঁধে বাড়ির পেছনের মাঠে সকাল বিকেল হাঁটতে যেতাম তখন মা মাঝে মধ্যেই বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করতেন, তোদের কি মাঠে জমিদারি আছে? আমরা বলতামঃ আমরা তো জন্ম থেকেই জমিদার। আর পুরো পৃথিবীটা আমাদের জমিদারি, এমনকি আমাদের জমিদারি এই বিশ্বব্রম্মাণ্ডের বিভিন্ন প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

এরপর সময়ের পরিক্রমায় জীবন কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসে দাঁড় করালো। এখন যখন সকাল বিকেল বাচ্চা দুটো আর আমি ঘুরতে বের হয় তখন গিন্নীও মাঝেসাঝে বিরক্ত হয়ে একই কথা বলেন। তখনও আমরা একই উত্তর দিই। যদিও আমাদের জীবনে ইতোমধ্যেই অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়ে গেছে। কোথাকার মানুষ আমি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি। সঙ্গী সাথীদের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। পুরোনো কত সাথী হারিয়ে গেছে নতুন কত সংগী যোগ হয়েছে।

অবিরত চলছে এই যোগ বিয়োগের খেলা। আবার হঠাৎ হঠাৎ পুরোনো সাথীরা এসে পথরোধ করে দাঁড়ায় বলে, কতদিন দেখা হয়নি। কিন্তু জীবন নদী থেমে নেই। আর এই জীবন নদী আবার সবার একই রকম না। কারো নদী পাহাড়ি পথ পারি দেয় তো কারো যদি সমতলের বিস্তৃত এলাকা ভাসিয়ে চলে কিন্তু চলতেই থাকে। কারণে এই বয়ে চলায় নদীর এবং জীবনের ধর্ম।

এই বয়ে চলাতে কত কিছুর মুখোমুখিই না হতে হয় নদীকে এবং আমাদের। কেউ এসে বাঁধ দিয়ে দিতে চাই, কেউ এসে আবার বুক থেকে পানি সেঁচে মুক্ত কুড়িয়ে নেয়, কেউ এসে আবার প্রাকৃতিক কর্ম করতেও দ্বিধা করে না কিন্তু এর কোন কিছুই বয়েচলার গতিরোধ করতে পারে না। শুরুতে বলছিলাম পরিবর্তনে কথা। নদীর আর জীবনের গতিপথ আসলে এই পরিবর্তনে কথায় বলে। কোথাও উঁচু তো পথ বদলে গেলো আবার কোথাও বাঁধা পেয়ে বিকল্প রাস্তা নিলো। আসলে নদীর এবং জীবনের গতিপথ কখনওই মসৃণ নয়।

আমাদের ক্ষণে ক্ষণে কাজের এবং ভাবনার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনো ভাবনা আঁকড়ে থাকার কোনো উপায়ই নেই। কিছু মানুষ এবং ঘটনাকে আমরা সময়ের প্রয়োজনে জীবন থেকে বিতাড়িত করছি আবার সময়ের প্রয়োজনেই তাদের কাছেও টানছি। আসলেই জীবনের কোনো ফিক্সড সিলেবাস নেই। যারাই জীবনটাকে সিলেবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চাই তারাই জীবনটাকে জটিল করে ফেলে। এতে করে একদিকে যেমন তারা নিজেদের জীবন বিষিয়ে তুলে অন্যদিকে পরিবার পরিজন এমনকি পুরো সমাজের জীবনযাত্রাটাকেই বিষিয়ে তুলতে পারে।

যাইহোক এগুলোর সবই একটা জীবনযাপন প্রণালীর অংশ। আপনার পাশের মানুষটার মানসিকতা কুৎসিত বলেই কিন্তু আয়নাতে আপনার চেহারাটা সুন্দর লাগে। আপনার পাশের মানুষটার সঙ্গে আপনার মতের অমিলটাই আপনাকে আরো বেশি জানার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে। অন্যের জীবনের অভাব অনটন আপনাকে মনেকরিয়ে দেয় আপনি কতটা সৌভাগ্যবান।

অন্যের অশিক্ষা-কুশিক্ষা আপনাকে সহনশীল হতে সাহায্য করবে। অন্যের দুর্ব্যবহার আপনাকে আরো কোমল করে তুলবে। অন্যের একগুঁয়েমি আপনাকে আরো উদার করে তুলবে। অন্যের অপুর্ণতাগুলো আপনাকে পূর্ণতার স্বাদ দিবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই তুলনা করাটা কতটা সমীচীন বা আদৌ করা উচিৎ কি না? আমার মতে মোটেও অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনের অর্জনের তুলনা করা উচিৎ না তবে এই পৃথিবী সম্মন্ধে একটা সম্যক জ্ঞান থাকা উচিৎ তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বেঁচে থাকাটা কতটা সার্থক। আর জীবনের কোন কোন দিকগুলোর পরিবর্তন করা জরুরি।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটা কবিতা আছে যেখানে লেখা আছে ‘ধর্মে নাই তাই জিরাফেও নাই’ কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে এই দুটোতেই থাকতে হবে। বিস্তারিত পরবর্তী কোনো লেখায় বলার ইচ্ছে আছে। এই কথাটা বললামঃ কারণ অতি সম্প্রতি আমার এক সিকি পরিচিত বন্ধু আমাকে নিয়ে বলেছে ‘ও তো একটা ছাগল, দুই দিন পরপর পোল্টি মারে।’ এটা জানার পর ভীষণ মন খারাপ হয়েছিলো।

পরবর্তীতে আমি এটার ব্যাখ্যা দাঁড় করলাম এইভাবে। সেটা হলো একই মানুষের মধ্যে ভালো মন্দ দুইটা সত্ত্বায় আছে। আমি হয়তোবা একই ব্যক্তির খারাপ কাজের সমালোচনা করছি আবার যখন সে কোনো ভালো কাজ করছে তখন আমি আবার তার গলা জড়িয়ে ধরছি। যাইহোক ভদ্র সমাজের এই একটা বিষয় আমাকে ভাবায়। এরা কখনোই কারো ভালো কাজের গুণগান করে না কিন্তু খারাপ কাজের জন্য ধুয়ে দেয়।

আবার অনেকটা সময় মনের অভিব্যক্তিটা মনের মধ্যে পুষে রাখে যেটা দিনেদিনে বেরে একসময় সম্পর্কটাকেই শেষ করে দেয়। আমার কথা হচ্ছে আপনি যদি তাকে বন্ধুই ভাবেন তাহলে সরাসরি আপনার অনুভুতিটা তাকে বলেন। আমরা তা না করে ফেসবুকে একটা ভাববাচ্যের স্ট্যাটাস দিই। এতেকরে সেই মানুষটা ছাড়াও অন্য মানুষদের সাথে অকারণ ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়।

আবারও পরিবর্তনের কাছে ফিরে আসি। অস্ট্রেলিয়ায় গত কদিন ধরেই বাংলাদেশের বর্ষাকালের মতো বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ভারী বর্ষণ আবার কখনও বা ইলশেগুঁড়ি, কখনও টানা আবার কখনও থেমে থেমে কিন্তু জীবনযাত্রা থেমে নেই। এর মধ্যেই মানুষ ছাতা মাথায় দিয়ে তাদের প্রাত্যহিক কর্ম সেরে চলেছে। অবশ্য জনপরিবহনগুলোতে সময়ের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যেমন আজ সকালের ট্রেন এসেছে পাঁচ মিনিট দেরিতে। স্টেশনের কারপার্ক থেকে প্ল্যাটফর্মে যেতে আমি ইলশেগুঁড়ির কবলে পড়লাম।

প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেখি ট্রেন দেরিতে আসবে। ট্রেনে উঠে আমি কোনো নির্দিষ্ট সিটে বসি না। দুতলা মিলিয়ে যখন যেটা ফাঁকা পাই বসে পড়ি। আজকে ইচ্ছে করেই দুই তলার ডান দিকের একটা সিটে বসলাম যাতে করে পুবের আকাশটা দেখা যায়। সকালের পুব আকাশে রঙের খেলা চলতে থাকে। সূয্যি মামা তখন আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেন। আর তার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় আলোর এই খেলা।

আজও পুবের মেঘের ওপরে সূয্যি মামার আলোর আভা এসে পড়েছিলো। মনে হচ্ছিলো মাটির চুলায় রান্না করার পর ছাইয়ের ওপরে যেমন আগুনের আভা লেগে থাকে ঠিক তেমনি দেখাচ্ছিলো আকাশটাকে। অবশ্য একটু পরেই আবার পুরোপুরি ছাইরঙা হয়ে গেলো। আমি লেখায় মগ্ন থাকায় মাসকাট স্টেশনে নামতে ভুলে গেলাম। গ্রিন স্কয়ারে নেমে টানলে ঢোকার মুখের দোকান থেকে একটা এক ডলারের কফি নিয়ে নিলাম।

বাসস্টপে এসে দেখি পুনম বৌদিও বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমাকে দেখে হাত নাড়লেন। আমি বললামঃ আজকেতো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে আর আমি আবার মাসকাটে নামতেও ভুলে গেছি। উনি বললেনঃ উনিও কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগের বাসটা মিস করছেন। আমি বললামঃ ব্যাপার না, আজতো শুক্রবার হোক না একটু দেরি সবকিছুতেই। বলতে বলতে উনার বাস চলে আসলো। তার একটু পর আমার বাস। বাসে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আসলাম অফিস পর্যন্ত। আর লেখার সুযোগ পেলাম না। অর্ধেক লেখা লিখতে হলো অফিস ফাঁকি দিয়ে।

এটাই জীবন। পরিবর্তন আর বয়ে চলা। কাল থেকে সপ্তাহান্তে শুরু হচ্ছে। এই পুরো সপ্তাহই না কি বৃষ্টি হবে। হোক বৃষ্টি জীবন তো আর থেমে থাকবে না। জীবন চলবে তার নিজস্ব গতিতে আর আমরাও চলবো তার পথ ধরেই। আজকে শুক্রবার। এখানে সবাই বলে হ্যাপি ফ্রাইডে কারণ আগামীকাল থেকে সপ্তাহান্তে। সপ্তাহটা যেমনই যাক শুক্রবার আসলেই সবাই চেহারার মধ্যে একটা জেল্লা দেখা যায়।

সবার মুখেই হাসি লেগে থাকে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন ট্রেনে বাসে সবাই মুখ গোমড়া করে বসে থাকলেও এদিন বিকেলবেলা সবাই গুজুর গুজুর ফুসুর ফাসুর করে গল্প জুড়ে দেয়। তখন মনেহয় এরা গত পাঁচদিনের রোবট জীবন থেকে মানবে রুপান্তরিত হচ্ছে। একজন মানুষ পাশের অপরিচিত মানুষের সাথে কথা না বললে কিসের জন্য এই মানব জনম। সপ্তাহান্তটা সকলের ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা রইলো। শুভ শুক্কুরবার।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]