হ্যামট্রামিক সিটির কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নিলেন বাংলাদেশি মুসা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের আগমন দেড়শত বছরের বেশি হলেও সময়ের পরিক্রমায় গত কয়েক বছরে বাংলাদেশি-আমেরিকানরা মূলধারার রাজনীতি তথা প্রসাশনিক বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন। ২০০৩ সালে মিশিগানের হ্যামট্রামেক সিটি ইলেকশনে জয়লাভ করে আমেরিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বপ্রথম সিটি কাউন্সিলর এবং একজন মাইনোরিটি সদস্য হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেন সাহাব আহমেদ সুমিন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আরেকজন হ্যামট্রামেক সিটির কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেন বাংলাদেশি-আমেরিকান আবু আহমেদ মুসা। মঙ্গলবার ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে সিটি হলে নতুন কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেন আবু আহমেদ মুসা। শপথ বাক্য পাঠ করান হ্যামট্রামিক সিটি ক্লার্ক রানা ফারাজ।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হ্যামট্রামিক সিটি মেয়র আমির গালিব, মেয়র প্রোটেম কামরুল হাসান, কাউন্সিলর মুহিত মাহমুদ, নাইম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলসমিরী, সিটির অন্যান্য অফিসিয়ালসহ কমিউনিটির অনেক নেতারা।
গত ২০২১ সালের ২ নভেম্বর হ্যামট্রামিক সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে আবু আহমেদ মুসা চূড়ান্ত নির্বাচনে ১৪৫৫ ভোট পেয়েও হেরে যান। সিটি কাউন্সিলর আমান্ডা জোকায়াস্কী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করার কারণে সংবিধানের ৪র্থ ধারা অনুযায়ী আবু আহমেদ মুসা সিটি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান আবু আহমেদ মুসা ১৯৯৬ সালে আমেরিকা প্রবাসী করেন। কয়েক বছর নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি স্টেটে বসবাস করলেও ২০১০ সাল থেকে মিশিগানে সপরিবারে বসবাস করছেন। ২০১৩ সালে প্রথম হ্যামট্রামেক সিটির কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।
এবার নিয়ে তিনি ৩য় বারের মতো সিটি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলেন। মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ৭ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের ৪ জনই হলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক। এই বিরচিত সাফল্যের জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। সিটির বাসিন্দারা প্রত্যাশা বাংলাদেশি হিসেবে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার চাহিদা পূরণ করবেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সামাজিক সংগঠন, আমেরিকার মূলধারার রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাউন্সিলর আবু আহমেদ মুসা জানান, গত সময়ে আমি সিটি কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় আমার বাংলাদেশিসহ অন্যান্য কমিউনিটির বাসিন্দাদের জন্যও কাজ করেছি। যেহেতু আবারও নির্বাচিত হয়েছি আমার চেষ্টা থাকবে শহরের গাড়ি পার্কিংয়ের মিটার সিস্টেমের জটিলতা দূর করার, নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি, শহরের আধুনিকায়নসহ বাংলাদেশিদের জন্য সকল কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় স্থায়ী শহীদ মিনার করতে। আশা করি সবার সহযোগিতায় কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবো।
এমআরএম/জেআইএম