মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ

নিয়োগকর্তার প্রতিশ্রুতিপত্র হাইকমিশনে জমার অনুরোধ

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ০৯ জুন ২০২৩

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে ওই দেশের নিয়োগকর্তার প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দিতে হবে বাংলাদেশ হাইকমিশনে। যথাসময়ে হাইকমিশনের প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দিতে নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুন) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার শ্রম নাজমুছ সাদাত সেলিমের সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জাননো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ার সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দিতে হবে। যথাযথভাবে নোটারাইজড এবং প্রত্যয়িত মন্ত্রণালয় দ্বারা মালয়েশিয়ার বৈদেশিক বিষয়, সংযুক্ত নির্ধারিত বিন্যাস অনুযায়ী বাংলাদেশের হাইকমিশনে এ প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দিতে হবে।

এরই মধ্যে ৪ লাখ ২৭ হাহার ৭৫৯ জন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ জন কর্মী ডিমান্ড সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। ২ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ জন কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা এক লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ জন শ্রমিক ঢাকা থেকে আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

হাইকমিশনের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, কিছু কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে যে তারা শ্রমিকদের মাসের পর মাস কাজ না দিতে পেরে বসিয়ে রাখছে। এসব অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইকমিশন ওইসব কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় এসে কাজ না পেয়ে যেন বসে না থাকতে হয়, সেজন্য ওইসব কোম্পানির সক্ষমতা কতটুকু তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাজ, বেতন-ভাতাদি, আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সঠিক সময়ে নিশ্চিত করার সামর্থ্য আছে কি না তা যাচাই করছি। কোম্পানির তথ্য উপাত্ত ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কলিং ভিসার সত্যায়ন করছে হাইকমিশন।

লেবার মিনিস্টার আরও জানান, সত্যায়নে স্বচ্ছতার জন্য যেমন দরকার প্রয়োজনীয় সময়, তেমনই দরকার দক্ষ লোকবল। হাইকমিশনের শ্রম বিভাগ এসব সত্যায়নের দায়িত্বে আছে। ছুটির দিনসহ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে লাখ লাখ সত্যায়নের আবেদন সম্পন্ন করছেন তারা।

কেএসআর/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]