ফারহা ডায়েরি
নিজের মতো বাঁচুন

ফারহানা হোসেন
দিন শেষে আমরা সবাই নিজের মতো করে কাউকে না কাউকে খুঁজি। নিজের মতো করে কাউকে সব উজাড় করে মনের কথা যত্ন করে বলতে চাই। মন খুলে কারো সাথে গান গাইতে চাই, হোক না হয় সেটা বেসুরা। পছন্দের কোনো কবিতা আবোল-তাবোল আবৃত্তি করে হলেও করতে চাই। হোক না সে ঘরের মানুষ কিংবা প্রিয়জন।
খুব কাছের মানুষ বা বন্ধু বা বান্ধবী না হোক হয় আপনের মতো কেউ। মুক্ত বিহঙ্গের মতো পাখা মেলে যখন মনের সব কথা বলতে ইচ্ছে করবে যেখানে কোনো রাখঢাক থাকবে না আরও থাকবে না সৌজন্যবোধ কিংবা ভদ্রতা।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই মনের সেই আকাঙ্ক্ষা শূন্য পড়ে থাকে। যাকে আমরা খুঁজে পেতে চাই তা না পেয়ে বেশিরভাগ সময় আমরা ভুল করে ভুল মানুষটাই নির্বাচন করে ফেলি।
আবার আমরা যে মানুষটিকে বন্ধু ভেবে তার সঙ্গে নিজের সবকিছু শেয়ার করতে থাকি একটা সময় সেই মানুষটিও অন্যমনস্ক বা বিরক্ত বা অনীহা নিয়ে তা শুনতে থাকে। হঠাৎ বিরক্ত প্রকাশ বা আপনাকে থামিয়ে দেওয়া বা আপনাকে এমন কিছু বলে কষ্ট দেবে তখন বহু চেনা মানুষকে অচেনা লাগবে আপনার। এরপর দেখবেন আপনার বলার জায়গাগুলো আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে আসছে।
যাকে সব বলার ইচ্ছেয় মন সবসময় উন্মুখ থাকতো সেখানই নিজেকে গুটিয়ে নিতে হচ্ছে। বলতে গিয়েও বলা হচ্ছে না। তখন নীরবতাই হয়ে যায় মুখের ভাষা।
তাই ভুল করে ভুল প্রিয় মানুষের আশা না থেকে নিজের মনের কথাগুলো নিজেই একা একা বলুন। একা একা গান শুনুন। বেসুরে গলায় নিজে গান করুন আর একা একাই হাসুন।
এতে অনেক শান্তি পাবেন। অন্তত কেউ আপনাকে কষ্ট দেবে না যার জন্য আপনি এতদিন জায়গা দিয়েছেন বা অপেক্ষা করেছেন। বলার জায়গাগুলো আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে, অন্তত এইটা ভেবে আর কষ্ট পাবেন না।
এমআরএম/এএসএম