অস্ট্রিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন

রাকিব হাসান রাফি
রাকিব হাসান রাফি রাকিব হাসান রাফি , স্লোভেনিয়া প্রতিনিধি স্লোভেনিয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৮ আগস্ট ২০২৩

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সকালে দূতালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্বের শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মরণ করেন। তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তার ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরা হয়। বক্তারা পঁচাত্তরের বর্বরোচিত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বর্ণনা দেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বস্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জন বিদেশিদের সামনে তুলে ধরা ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতকরণে বিশ্ব জনমত গঠন করায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেত্বত্বের বর্ণনা দিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন।

অস্ট্রিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি শক্তিশালী পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে আহ্বান জানান।

সবশেষে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com