কলকাতায় ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক সম্মেলন

আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে ভারত। আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং বড় বিনিয়োগকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকতে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১২টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ-ভারত স্থল বন্দরের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন, ভিসা সহজীকরণ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থাপনা সমূহকে আরও আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এই সম্মেলনের আয়োজন করে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে দুইদিন কলকাতায় বেঙ্গল চেম্বার ভবনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বারের নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, এনআরবি ওয়ার্ল্ডের সম্পাদক ওমর আলী।
সম্মেলনের প্রথমদিনে বক্তব্য দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. সঞ্জীব সান্যাল, জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপ আঞ্চলিক দফতরের প্রধান মিকিকো তানাকা, কলকাতায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পডাক, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কলকাতা অফিসের পরিচালক নীলম রানী, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির প্রধান বংগুক পার্ক, চেন্নাইয়ে নিযুক্ত আমেরিকান কনসুলেটের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যারি অরুন, নেপালের কনসাল জেনারেল ইশ্বর রাজ পডেল, ইন্ডিয়ান বিজনেস চেম্বার ইন ভিয়েতনামের চেয়ারম্যানে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, রয়েল থাই কনসুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল পিয়াপন আতিপাত্তু, ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব নদ্ভানী, নেপাল ইন্ডিয়া চেম্বারের প্রেসিডেন্ট শ্রীজানা রানা, তাইপে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক শিং ঝিং, ভুটান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট তন্ডি ওয়াংচুক, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন জেট্রোর উপ মহাপরিচালক উজি সানাদা, ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ড. নগেশ কুমার, ইন্ডয়া এক্সিম ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শর্মা, রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রবীর দে এবংআসামের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) উপদেস্টা ড. শীলাদিত্য চ্যাটার্জি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য দেন ভারতের দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, ভারত সরকারের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের সচিব অজয় শেঠ, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর রবী শঙ্কর, ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অনন্থ নগেশ্বরন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব রাজীব কুমার, জাপানে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের উপপ্রধান মায়ানক যোশী, অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের উপপ্রধান সুনীত মেহতা, এডভান্ট ইন্টারন্যাশনালের অপারেটিং পার্টনার শিভ শিভকুমার, বাঁধন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এস ঘোষ, সিইএসসির নির্বাহী পরিচালক গৌতম রায়, আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল লিমিটেডের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার ভিজয় দেশওয়াল, ইন্দোরামা ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিএফও মণিশ কুমার আগরওয়াল, জেআইএস গ্রুপ এডুকেশনাল ইনশিয়েটিভের পরিচালক সীমাপ্রীত সিং, লিনডে ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিজিৎ ব্যানার্জি প্রমুখ। দুই দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সুবীর চৌধুরী। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বেঙ্গল চেম্বারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অম্বরিশ দাশগুপ্ত, ইকোনমিক এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডঃ অজিতাভ রায় চৌধুরী, চেম্বারের মহাপরিচালক শুভদীপ ঘোষ প্রমুখ। দুই দিনের ইন্দো-প্যাসিফিক সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে যোগ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভুটান, ভিয়েতনাম, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের একজোট করতে ইন্দো-প্যাসিফিক চেম্বার অব কমার্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
ওই অঞ্চলের সকল চেম্বার থেকে দুইজন প্রতিনিধি নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার গঠন করা হবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সসহ ব্যবসায়ীদের অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি কেউ যোগ দেননি।
এমআরএম/এএসএম