মানব জীবন থেকে যান্ত্রিক জীবন

রহমান মৃধা
রহমান মৃধা রহমান মৃধা
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

‘বিশ্ব’ একটি শব্দ, যা আমাদের দুনিয়ার মহান এবং প্রসারণশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রজন্মকে উপস্থাপন করেছে। এটি আমাদের সাম্প্রতিক যুগের সকল সম্প্রদায়, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতির সম্মিলিত আবদ্ধতা ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা নিয়ে চলে আসছে।

এই বিশ্ববাসী একসঙ্গে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা বৃদ্ধি, উন্নতি ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষ গতিতে প্রবণতা অর্জন করে চলেছে। এই বিশ্বের অধীনে, মানবিক অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারী অধিকার, পরিবেশ সংরক্ষণ, শিক্ষার উন্নতি ও প্রযুক্তির উন্নতির লক্ষ্যে কাজও করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এটি একটি নিবিড় জগত, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা এবং সংস্কৃতির মানুষ একত্রে থাকে এবং সামাজিক উন্নতি ও মানবিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এই বিশ্ব বিভিন্ন মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একটি আলোকপথ, যেখানে সকল মানবজাতি একে অপরের সঙ্গে শান্তি, সহযোগিতা এবং সহানুভূতির মধ্যে জীবনযাপন করতে সহায়ক।

আমি এই বিশ্বে বাকস্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের ওপর কথা বলেছি, আমার মতো অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলছে। এটি অত্যন্ত মৌলিক এবং মানবিক বিষয়। এটি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত মতামতের মৌলিক অধিকার প্রকাশ করার উপকারী মাধ্যম। বাকস্বাধীনতা আমাদের মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়, আপনি যেখানে চান সেখানে আপনার ধর্ম, বর্ণ, ব্যক্তিগত মতামত এবং উপায় প্রকাশ করতে পারেন। আপনি অন্যদের মতামত শ্রদ্ধাশীলভাবে শুনতে পারেন এবং একটি সাম্প্রদায়িক সাহিত্যে প্রবদ্ধ হতে পারেন যা আপনার ব্যক্তিগত এবং সামাজিক স্বাধীনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করা বা কাউকে তার ধর্মগ্রন্থের কারণে অপমান করা অযৌক্তিক। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে আলোকিত মূল্যবোধের দিকে মানবজাতির প্রতি আহ্বান থাকতে পারে। আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আদর্শভাবে ব্যবহার করা উচিত। ধর্মগ্রন্থের অবমূল্যায়ন, অবমাননা ও অপমান সমাজে বৈষম্য ও অসঙ্গতি তৈরি করতে পারে এবং সামাজিক ঐক্য ও সহযোগিতার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং করে যা আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি।

আমার ভাবনা থেকে কিছু কথা। সব সমস্যার সমাধান যদি রাতারাতি হয়ে যেত তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা কী করতাম? কোথাও কেউ নেই, কোথাও সমস্যা নেই। এটাও হতো আমার জন্য এক নতুন সমস্যা। মনে প্রশ্ন আসতো, আমি নতুন সমস্যায় পড়লাম নাতো? মনে হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব মানেই বর্তমান যেভাবে চলছে সেভাবে বা আরো জটিলতার মধ্য দিয়ে চলতে হবে।

আমাকে কে যেন বলছে, ‘থাকলে থাকো না থাকলে চলে যাও। যদি মনে করো এপার থেকে ওপার ভালো তাহলে দেরি না করে চলে যাও ওপারে। তোমাকে কেউ জোর করে ধরে রাখেনি এখানে। তবে যদি মনে করো তুমি এখানে থাকতে চাও তবে তোমার যা ভালো লাগে সেটা কর তবে অন্যের সমস্যা হোক এমন কিছু করো না’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সবাই যদি যার যার ভালো লাগার ওপর কাজ করে তাহলেও তো সংঘর্ষ হবে, সমাধান হবে আবার নতুন সমস্যা আসবে। এর নাম হতে পারে বিশ্বজীবন, আমি বিশ্ব নাগরিক, আমি আমার অধিকার এবং আমার অস্তিত্বের ওপর লড়াই করে চলছি।

আমি আমার জীবন লড়াইয়ে কখনও একাকী আবার কখনও সঙ্গবদ্ধভাবে সময় কাটাই। এ সময় সকাল থেকে বিকেল অবধি সময়টুকু বাড়িতে একা একা কাটানো বিশেষ করে শরতের এই শেষ সময়টি বেশ জটিল। জটিল বলতে যেমন ঘরে, বাইরে যেখানেই যাই না কেন শুধু অন্ধকার। সূর্যের দেখা মেলে না, ঝড়, বৃষ্টি বা হালকা-পাতলা তুষারপাত, তারপর প্রচন্ড ঠান্ডা।

এমন একটি সময় ক্রিয়েটিভ হওয়া, পজিটিভ মন মানসিকতার চর্চা করা, শরীর চর্চা করা বা বাইরে প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া বেশ জটিল। তারপরও রুটিন মাফিক সব কিছুই ভালো না লাগলেও করতে হয়। কখনও দেখা যায় কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেছে কোথাও কেউ নেই, ঘরে একা, বাইরে একা, আকাশ পানে তাকালে সব কিছু ফাঁকা। তবে জীবনের শূন্যতা যেমন অনুভব করি মনের শূন্যতা তেমনটি কিন্তু মনে হয় না।

বিজ্ঞাপন

কারণ নানা ধরনের চিন্তা মনের মাঝে বিরাজ করে, তখন মনের শূন্যতা অনুভব করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু চোখের পলক যখন আমার চারপাশ ঘিরে সবকিছু দেখে তখন ঘর, বাড়ি, গাছপালা, সাগর সহ নানা বিষয় বস্তু বা জীবজন্তুর দেখা মেলে কিন্তু শূন্যস্থানগুলো সব সময়ই শূন্যতা মনে হয়, যেমন খোলা আকাশ পানে তাকালে মনে হয় সবই শূন্য। কারণ চোখ যা দেখে না, বিবেক বা আবেগ সেটা মনের মাঝে জায়গা করতে পারেনা।

তবে আমার মনের মাঝে চিন্তা, ভাবনা মিলে শূন্য সময়কে ব্যস্ত করে মনকে নানাভাবে পরিপূর্ণ করে। মনের জগৎ যেমন অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে, চোখ সেটা পারে না। তবে যদি হঠাৎ চোখের জ্যোতির আলোক রশ্মির পরিবর্তন দেখা দেয় তাহলে কী হতে পারে কেউ কি কখনও ভেবেছেন? আমি ভেবেছি। আমার এই ভাবনা থেকে কিছু রিফ্লেকশন শেয়ার করব।

আমি বাল্টিক সাগরের পাড় দিয়ে একা একা হাঁটছি। হঠাৎ মনে হলো আমার সামনে এবং পেছনে শব্দ এবং দৃশ্যমান কিছু বস্তু দিব্যি ভাসমান অবস্থায় চলা ফেরা করছে। আমি এর আগে এমনটি দেখিনি, কীভাবে বর্ণনা করব সেটাও ঠিক বোঝাতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। আজীবন শূন্যস্থানগুলো তো শূন্যই দেখেছি হঠাৎ সেগুলো নানা ধরনের এবং ভিন্ন প্রকৃতির অলৌকিক দৃশ্যমান বস্তু, জিনিস যা আমি জীবনে এর আগে দেখিনি।

বিজ্ঞাপন

তবে শুনেছি ধর্মীয়ভাবে, দেখেছি সিনেমার জগতে, শুনেছি গল্প আকারে যেমন ভুত, পেত্নী, দানব, জিনপরী ইত্যাদি। কিন্তু এরা দেখতে কেমন বাস্তবে সেগুলো কখনও দেখিনি, তবে কাল্পনিকভাবে মনের মাঝে চিত্রাঙ্কন করেছি।

কিন্তু সেই কাল্পনিক চিত্রাঙ্কনের সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছি না। ভয়ে ভয়ে ভাবছি, একটু কথা বলে দেখি বা শব্দ করে দেখি। কী শব্দ করবো? কোন ভাষায় শব্দ করবো এ নিয়ে পড়লাম ঝামেলায়। পরে মনে হলো সুইডেনে যেহেতু তা সুইডিশে কিছু বলি। হেই বললাম সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পেলাম, সেও বললো হেই। আমি বললাম এর আগে তোমাদের তো দেখিনি, তোমরা কারা, কোথায় থাকো, কী করো ইত্যাদি।

দিব্যি বললো যে ‘আমরা তোমার সাথেই সব সময় থাকি। আমাদের কাজই দায়িত্ব পালন করা এবং নজরদারি করা। তুমি কী করো, কী না করো, সব ফলো করি আর নোট করি’। আমি বললাম তাহলে কি তোমরা ফেরেশতা? একজন বললো, ‘শুধু ফেরেস্তা না, আমাদের মধ্যে নানা গ্রুপের জাতি আছে। তারপর আমরা ভালো, মন্দ, বিবেক, আবেগ, সত্য, মিথ্যা, ভয়, সাহস, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ ইত্যাদি ইত্যাদি’।

বিজ্ঞাপন

আমি বললাম ওসব তো আমার মনের মধ্যেই আছে এবং আমি তো সেটা টের পাই যখন যেটা ঘটে? ওরা একত্রে বললো, ‘তা ঠিক, কিন্তু কখনও তো দেখোনি, শুধু অনুভব করেছো, এখন দেখলে তোমার বিবেকের চোখ দিয়ে’। আমি বললাম, বল কী বিবেকেরও চোখ আছে? তারা সবাই একটু হেসে দিয়ে বললো, ‘অবশ্যই আছে। আমরা বাতাসের সাথে চলি তাই তোমার নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাসের সাথেই আমাদের উঠা বসা’। কথাগুলো শোনার পর গা গতর অবশ হতে শুরু করতে লাগল। ভয়ও হচ্ছে।

হঠাৎ বিবেক বলতে লাগল, ‘এই দেখো ভয় তোমাকে ডমিনেট করছে’। আমি বললাম তোমরা সবাই থাকতে ভয় কেনো আমাকে ডমিনেট করছে? উত্তরে বললো, ‘সবকিছুই টিভির চ্যানেলের মতো। টিভিতে যেমন তোমার অনেক চ্যানেল আছে যখন যেটা দেখতে মন চায় তখন রিমুট কন্ট্রোল চাপ দিয়ে সেটা দেখো, ঠিক তোমার মন বা বিবেক যখন যেটা ইচ্ছে সেটা করে। আমরা তার আদেশ ফলো করি মাত্র’।

আমি মনকে জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কী তুমি এত সব কিছুর দায়িত্বে সত্ত্বেও কেন আমাকে তুমি সঠিক পথে পরিচালনা করো না? উত্তরে মন বললো, ‘আমার কাজ যে যেটা করতে চায় আমি শুধু সেটাই করি’। আমি তখন বললাম, তাহলে আমার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কার হাতে? ওরা একসাথে বললো, ‘তোমার নিজের হাতে’। আমি বললাম, আমার নিজের হাতে মানে? তখন মনে হতে লাগল ওহী নাজিল হচ্ছে। সে আবার কী? বিবেক আমার ভিতর থেকে মনে মনে বলছে, আমি বিবেক সব কিছু করি তবে নির্ভর করে শরীরের সমস্ত নফসের ওপর।

বিজ্ঞাপন

আমি প্রতিনিয়ত যেসব নফস ব্যবহার করি সেগুলোই মূলত ডমিনেট করে আমাকে। যেমন যদি আমি সব সময় খারাপ চিন্তা বা খারাপ কাজ করি তবে আমার বিবেক সেদিকেই আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমার নিজের বিবেক আরো একটু পরিষ্কার করে বোঝাতে শুরু করলো যেমন বললো, ‘তুমি যদি প্রতিদিন শরীর চর্চা করো দেখবে হঠাৎ একদিন বাদ দিলে তোমার পুরো শরীর অস্থিরতা বোধ করবে। আবার যদি কখনও সেটা না কর তবে হঠাৎ করতে গেলে বা কেউ বললে দেখবা নানা অজুহাত খুঁজবে যাতে না করা লাগে।

‘ঠিক কখন কী করতে মন চায় সেটা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় হোক না সেটা ভালো বা মন্দ তাতে কিছু যায় আসে না বিবেক তখন প্রভাবিত হতে থাকে’। এর থেকে রেহাই পেতে কী করা যেতে পারে, জিজ্ঞাসা করলাম। বিবেক বললো, ‘ভারসাম্য বজায় রাখা শিখতে হবে। যদি তুমি মনে কর তুমি কিছু করবে যা সবার জন্য মঙ্গল সেটার ওপর নিয়মিত চর্চা করলে সেটা পরিপক্ব হবে’।

এসব কথার ফাঁকে লক্ষ্য করলাম জিন এবং ফেরেশতারাও পাশ দিয়ে ঘুরছে। তাদের কাজ মনে হলো নজরদারি করা।ফেরেশতারা শুধু নজরদারি করছে কিন্তু জিন কিছুটা শয়তানি চিন্তা-ভাবনা মনের মাঝে ঢোকাতে ব্যস্ত বলে মনে হলো। আমাকে ভুল পথে নেয়াই হচ্ছে তার কাজ। কখন এবং কতদূর হেঁটেছি জানি না তবে অন্ধকার হয়ে গেছে তাড়াহুড়ো করে ঘরে ফিরে গোসল সেরে একটু ধ্যানে বসেছি। ধ্যান শেষ হতেই মনে হলো আমার ভাবনাগুলো শেয়ার করবো, আমার শেয়ার ভ্যালুর কনসেপ্ট থেকে আজকের লেখা।

হৃদয় আমার সুন্দর মমতায়, ভালোবাসার মাঝে ধরিয়া রাখিতে চাই কিন্তু সেটা তো সম্ভব হবে না যদি আমরা মানব জীবন থেকে যান্ত্রিক জীবনের দিকে এগোতে থাকি? কেনো হবে না? কারণ এআই বা আটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের সমস্ত কিছু সত্তর মনিটর করা থেকে তার আয়ত্তাধীন নিয়ে নেবে। তাদের ওপর বাহ্যিক শক্তি (জিন জাতিয়) প্রচন্ড আকারে প্রভাব ফেলবে এবং আমাদের সমস্ত ক্ষমতা যান্ত্রিক এই রোবট নিয়ে নিবে এবং মানব সভ্যতার উন্নয়নে ব্যারিকেড সৃষ্টি করবে, আমাদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।

এমন একটি সময় অতি নিকটে যদি আমরা মানব সভ্যতার উন্নয়নে গঠনমূলক কাজ না করি। আমরা মানুষ জাতি নিজেদের ধ্বংস নিজেরা টেনে আনছি। আমরা যুদ্ধ, বিদ্বেষ, ঘৃণার জাল বুনে, ধর্ম বর্ণের বিভেদে লিপ্ত এবং ক্ষিপ্ত হয়ে মানব সভ্যতাকে পিচাশের হাতে তুলে দিতে উঠেপড়ে লেগেছি। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে ধ্বংস আমাদের অতি নিকটে। মানব জাতির আচার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে করোনা ছিলো কিছু সংখক মানুষের উৎপাদিত ধ্বংসাত্মক হাতিয়ার, সেটা দিয়ে মানব জাতিকে শেষ করতে চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি।

এখন নানা ধরনের যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্ট করে নতুন করে ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টায় মগ্ন। এর থেকে সত্তর রেহাই না পেলে যান্ত্রিক এআই ডমিনেট করবে মানুষ জাতিকে এবং পৃথিবীর মানুষ হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমি চলে যাব। নতুন কেউ আমার জায়গা দখল করে নেবে, ভালো না লাগলে সে তার মতো করে সাজাবে। এভাবেই হয়ত চলতে থাকবে!

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। rahman.mridha@gmail.com

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com