পর্তুগালে নাইট ক্লাবসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

মো. রাসেল আহম্মেদ
মো. রাসেল আহম্মেদ মো. রাসেল আহম্মেদ
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৪২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ৭১ হাজার ১৬৯ জন।

এদিকে, পর্তুগালে ১১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৩০৮ সন্দেহভাজনসহ ৫৬৭৪ জনকে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পর্তুগালে আগামী ১৬ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার

পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা এক বিবৃতিতে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পর্তুগালের নাইটক্লাবসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।

আরেক বিবৃতিতে পর্তুগালের স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের নাগরিকদের পরিষেবা শক্তিশালীকরণ এবং সুরক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের জন্য পর্তুগালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার করেন। এ অবস্থাতে দেশটির সকল নাইট ক্লাব এবং এই জাতীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। পর্তুগালের নাগরিক ছাড়া পর্তুগালে আসা সকল প্রকার ক্রুজের যাত্রী ও নাবিকদের জাহাজ থেকে স্থলে নামা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই ৮০ হাজার ৮৩২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৭৭ জন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে ১৭ হাজার ৬৬০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১ হাজার ২৬৬ জন।

এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৪ এবং মারা গেছে ৫১৪ জন। অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ হাজার ২৩২ এবং ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জার্মানিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৫ এবং মারা গেছে ৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৬১ এবং মৃত্যু ৭৯। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ২ হাজার ২৮৭ এবং মৃত্যু ৪৯। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ১ হাজার ১৩৯ এবং মৃত্যু ১১। নরওয়েতে আক্রান্ত ৯৯৬ এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। সুইডেনে আক্রান্ত ৮১৪ এবং মৃত্যু ১। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৮০৪ এবং মৃত্যু ১০।

ডেনমার্কে আক্রান্ত ৮০৪, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৭৯৮ এবং মৃত্যু ১১, জাপানে আক্রান্ত ৭৩৪ এবং মৃত্যু ২১। জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে আক্রান্ত ৬৯৬ এবং মৃত্যু ৭। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৫৫৯ এবং মৃত্যু ৩, অস্ট্রিয়ায় আক্রান্ত ৫০৪ এবং মৃত্যু ১, কাতারে আক্রান্ত ৩২০, বাহরাইনে ২১০, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ২শ, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত ১৯৯ এবং মৃত্যু ৩।

অপরদিকে কানাডায় আক্রান্ত ১৯৮ এবং মৃত্যু ১, মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ১৯৭, গ্রিসে আক্রান্ত ১৯০ এবং মৃত্যু ১। ফিনল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত ১৫৫, ব্রাজিলে ১৫১, ইসরায়েলে ১৪৩, চেক প্রজাতন্ত্রে ১৪১, স্লোভেনিয়ায় ১৪১, আইসল্যান্ডে ১৩৪, হংকংয়ে ১৩২, পর্তুগালে আক্রান্ত ১১২ এবং মৃত্যু ইরাকে আক্রান্ত ১০১ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।

কুয়েতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১শ, রোমানিয়ায় ৯৫, মিসরে আক্রান্ত ৯৩ এবং মৃত্যু ২, আয়ারল্যান্ডে আক্রান্ত ৯০ এবং মৃত্যু ১। সৌদি আরবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ জন, আরব আমিরাতে ৮৫, ভারতে ৮২ এবং মৃত্যু ২, সান মেরিনোতে ৮০ এবং মৃত্যু ৫, এস্তোনিয়ায় ৭৯, লেবাননে আক্রান্ত ৭৭ এবং মৃত্যু ৩, থাইল্যান্ডে আক্রান্ত ৭৫ এবং মৃত্যু ১।

ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৯৬ এবং মৃত্যু ৪, ফিলিপাইনে ৬৪ এবং মৃত্যু ৬, রাশিয়ায় আক্রান্ত ৪৫, তুরস্কে ৫, বাংলাদেশে ৩, নেপালে ১, ভুটানে ১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে,করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। চীনের পর করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইউরোপের দেশগুলোকে। ইউরোপকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের মহামারির ‘কেন্দ্রস্থল’ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে’।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]