কানাডার কুইবেকের মন্ট্রিয়লসহ বিভিন্ন সিটিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি

আহসান রাজীব বুলবুল
আহসান রাজীব বুলবুল আহসান রাজীব বুলবুল , কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:০৩ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে কানাডাবাসীকে রক্ষার্থে কিউবিক প্রদেশের মন্ট্রিয়ল সিটিসহ বেশকিছু স্থানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ফলে ওইসব স্থানে বার, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং জাদুঘর বন্ধ থাকবে।

দেশটির কুইবেক প্রদেশে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রিমিয়ার ফ্রান্সোইস লেগল্ট, জনস্বাস্থ্যের পরিচালক হোরাসিও আরুদা এবং স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী ডুব রেড অ্যালার্ট জারি করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমে লেগল্ট বলেন, পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। আমরা যদি আমাদের হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত রোগী না দেখতে চাই, যদি মৃত্যুর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে চাই, তবে আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে আগামী ২৮ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক বার, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনো বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সিনেমা, থিয়েটার, অভ্যর্থনা কক্ষ, বনভোজন হল, শোরুম, জাদুঘর এবং গ্রন্থাগারগুলিও বন্ধ থাকবে।

আগামী ২৮ অক্টোবর আবারও খোলার অনুমতি দেয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

লোক সমাগম এড়াতে জনসাধারণকে অন্যদের বাড়িতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একমাত্র একই ঠিকানার নিজেদের ঘরের সদস্য ছাড়া অন্যকেউ যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, কানাডার পুরো প্রদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্যদিকে বিক্ষোভ কিংবা সমাবেশ করা যাবে না। তবে খুচরা দোকান, হেয়ারড্রেসার এবং হোটেলগুলির মতো ব্যবসা এবং স্কুলগুলিও উন্মুক্ত থাকবে।

এত সতর্কতার পরও কুইবেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ার ফলে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

এছাড়াও কানাডার অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং আলবার্টা প্রদেশেও প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রদেশগুলোর নীতি নির্ধারকরা কার্যকর পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করারও আহ্বান জানিয়েছেন।

উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসানের মতে, কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে কোভিড রোধের বিধিনিষেধগুলো অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আবারো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণকে ও পূর্বের মতো সকল বিধিনিষেধ মেনেই চলতে হবে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০১ জন, মৃত্যবরণ করেছেন ৯ হাজার ২ শত ৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০৭ জন।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]