কানাডায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও এ ভাইরাস থেকে যেন মুক্তি মিলছে না কোনোভাবেই।
কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অনটারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, ও কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।
অন্টারিওর বিভিন্ন সিটি ইতোমধ্যে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে সীমিতসংখ্যক লোকজনের চলাচল এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এতদ সত্ত্বেও রোববার অন্টারিওতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৫৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ২০টি নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অন্টারিওর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট বলেছেন, এর মধ্যে ৪৯৭ জন পিল অঞ্চলে, টরন্টোয় ৪৫৬ জন, ইয়র্ক অঞ্চলে ১৩০ জন এবং অটোয়ায় ৭৭ জন। ৪৪ হাজার ৮০০ এরও বেশি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৪৫২ জন ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে কানাডার আলবার্টা প্রদেশে শনিবার ১ হাজার ২৬ জন নতুন করে শনাক্তসহ প্রদেশটিতে তিনটি নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৫৬ হাসপাতালে ভর্তি এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে ৫৪ জন।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথাও তিনি বলেছেন।
এছাড়াও গতকাল কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম কানাডিয়ানদের সতর্ক করে বলেছেন, কানাডায় যে অনুপাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিনের গণনার তুলনায় তা দ্বিগুণেরও বেশি।
অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দীপাবলি'র এক শুভেচ্ছা বার্তায় কমিউনিটিকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৩১ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ হাজার ৮ শত ৯১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৯১৫ জন।
এমআরএম