ওমানে করোনায় ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশি সহোদরের মৃত্যু

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ০৩ জুন ২০২১

মীর মাহফুজ আনাম, মাস্কাট( ওমান) থেকে

ওমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাত ঘণ্টার ব্যবধানে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- চট্টগ্রামের রাউজানের চিকদার ইউনিয়নের আবদুল আলীর বাড়ির মৃত সোলতান আহমদের ছেলে আবুল কালাম (৬২) ও আবুল কাশেম (৫২)।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দশটায় মাস্কাট সিটির কৌলা হাসপাতালে আবুল কালাম ও একই সিটির রয়েল হসপিটালে আবুল কাশেম ভোর পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উভয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তাদের পরিবার নিশ্চিত করেছে।

তারা উভয়ে মাস্কাট সিটির আমরাত নামক স্থানে বসবাস করতেন। সরজেমিনে দেখা গেছে, আবুল কালাম দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে ওমানে বসবাস করে আসছেন। এখানে তার স্ত্রী-সন্তানরাও রয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন তিনি।

মৃত অপর ভাই আবুল কাশেমও বড় ভাইয়ের সঙ্গেই একই বাসায় থাকতেন। তবে, তার পরিবার দেশে থাকে। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক, পেশায় ব্যবসায়ী।

আবু জাফর নামক তাদের এক ভাতিজা বলেন, আমরা যেখানে বসবাস করি এই এলাকায় কমবেশি সবাই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে তাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যায়। প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা, পরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে প্রাইভেট ক্লিনিকে, একদম শেষে সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাদের দু’জনের মৃত্যু হলো।

মৃত আবুল কালামের বড় ছেলে সাইফুদ্দিন কামাল বলেন, ‘বাবা হাসপাতালে যেতে চাননি। তিনি বলেছেন তোমাদের দেখে দেখে মরে যাব। বাসায় থাকব। আমরা জোর করে অনেকটা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। এক কঠিন বাস্তবতা আমরা হাসপাতালে দেখারও সুযোগ পাইনি। অবশেষে মৃত্যুর পর লাশটা দেখতে পাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি বলেন, ‘দুই ভাইয়ের একই দিনে প্রবাসে মাটিতে মৃত্যু খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। তাদের এমন মৃত্যু হলো লাশগুলোও নিজ দেশে নেয়া যাবে না। এখানেই দাফন করতে হবে। আমরা কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাদের দাফন কাফনসহ নানাভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেল আরব রাষ্ট্রগুলোতে লাশ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]