প্রবাসীদের এনআইডি জটিলতা, পাসপোর্ট দেখে ভ্যাকসিন দেয়ার দাবি
মতিউর রহমান মুন্না, আরব আমিরাত থেকে
করোনা মহামারিতে দেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া প্রবাসীরা ভ্যাকসিন নিয়ে যেন বড় জটিলতায় পড়েছেন। যেসব দেশে এখন প্রবাসীরা ফিরতে পারছেন সেখানে ভ্যাকসিন সনদ নিয়ে যেতে হচ্ছে। তা না হলে নিজ খরচে সাত থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
এদিকে এনআইডি ছাড়া ভ্যাকসিন নিবন্ধন না হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন অনেক প্রবাসী। কারণ কারো নেই এনআইডি, আবার কারো এনআইডির সঙ্গে নেই পাসপোর্টের তথ্যের মিল।
এদেরই একজন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী হবিগঞ্জ জেলার রুনু মিয়া। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গেল রমজান মাসে দেশে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে আবার জুন মাসের ১২ তারিখ আমিরাতের কর্মস্থলে ফিরে আসবেন, এমনটাই আশা ছিল তার। কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়ায় বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের ৯টি দেশের সঙ্গে আকাশ পথের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
রুনু মিয়া জানান, এরই মাঝে শেষ হয়ে গেছে ফিরতি টিকিটের মেয়াদ। কোনদিন ফ্লাইট চালু হবে এ আশায় তিনি কর্মস্থলে ফিরতে অপেক্ষার দিন গুনছেন। কিন্তু তিনি শুনেছেন ভ্যাকসিন ছাড়া আমিরাতে ফেরা অনিশ্চিত। তাই রুনু মিয়া ভ্যাকসিনের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে বারবার গিয়েও কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না।
ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে লাগে এনআইডি। কিন্তু রুনু মিয়ার এনআইডি নেই। তিনি পাসপোর্ট-ভিসা দিয়ে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানান। শুধু রুনু মিয়াই নয় দেশে আটকেপড়া অসংখ্য আমিরাত প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে অপেক্ষায় রয়েছেন।
২৩ জুন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্ধ থাকা কয়েকটি দেশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও ভারতের সঙ্গে পুনরায় ফ্লাইট চালু করেছে। দেশগুলো থেকে দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারী যাত্রীরাই কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জুলাই মাসে ফ্লাইট চালু হতে পারে বলে ধারণা অনেকেরই। কিন্তু দেশে থাকা প্রবাসীরা ভ্যাকসিন নিতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
নিবন্ধন করতেও এনআইডি প্রয়োজন হয়। অনেক প্রবাসীর এনআইডি নেই। পাসপোর্ট ও বৈধ ভিসার ভিত্তিতে নিবন্ধন এবং জরুরি ভিত্তিতে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা জটিলতা ছাড়া কোভিড ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এমআরএম/জেআইএম