ইতালিতে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে উদযাপন করা হয়।

দূতাবাস থেকে জানা যায়, অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত ও কমিউনিটি নেতাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ, নীরবতা পালন, শেখ কামালের জীবনীভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান শহিদ শেখ কামালের জীবনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল কেবল একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের আধুনিক ধারার স্থপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বহুমাত্রিক সাফল্যের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বিশেষ অবদান রয়েছে বলে তা তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন শেখ কামালের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের যুব সমাজের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হিসেবে আগামী দিনগুলোতে উৎসাহ যোগাবে।

একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার কথা তুলে ধরে বিশ্বে একটি ‘মডেল রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতির কথাও তুলে ধরেন।

দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে ইতালির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও নারী নেতাসহ প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। আলোচনা সভায় বক্তারা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের তারুণ্যদীপ্ত ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় উল্লেখ করে তার দেশপ্রেম, বহুমুখী প্রতিভা, দেশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তারা শেখ কামালের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আগামীর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শেষভাগে শহিদ শেখ কামালসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম কল্যাণ) আসিফ আনাম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচাররা উপস্থিত ছিলেন। পরে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]