শ্রমিক নিয়োগ: বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ২১ মার্চ ২০২৩
মালয়েশিয়ার একটি পাম বাগানে কাজ করছেন শ্রমিকেরা

‘মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ: যৌথ ওয়ার্কিং’ গ্রুপের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য যারা ডাটাবেজ পূরণ করেছেন তারা যেতে পারবেন এতে কোনো বাধা থাকবে না। মালয়েশিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং ছিল দুই দেশের অফিসিয়াল মিটিং। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অনলাইন আছে সেটাকে ইন্টিগ্রেট করা। এটা আগে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। মালয়েশিয়া তা বাস্তবায়ন করতে সম্মত হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আশা করছে আগামী ১৫ এপ্রিল এর মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে। এখান থেকে কর্মী নেয়া, ক্লিয়ারেন্স এবং রিক্রুটমেন্টের সঙ্গে তাদের ডাটাবেজের সমন্বয় হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি আরও পরিচ্ছন্ন হবে।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত

এই পুরো প্রসেসকে কিভাবে দ্রুত ত্বরান্বিত করা যায়, কারণ বাংলাদেশ যে পরিমাণ ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছে ওই পরিমাণ কর্মী এখন পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারেনি। এখানে কিছু সমস্যা আছে। তাদের ভিসা প্রসেসিং করার জন্য বাড়তি সেন্টার চালু জন্য বলা হয়েছে। তা যত দ্রুত সমাধান করা যায় তা দেখবে বলে মালয়েশিয়া জানিয়েছে।

আজকের আলোচনার মূল বিষয়টা ছিল যারা কর্মী হিসেবে যাবেন তারা যেনো খুব সহজে যেতে পারেন জানিয়ে সচিব বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী পাঠাতে খরচ যেন কম হয় এই বিষয়গুলোও আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও যে ক্ষেত্রগুলো আছে তারা যেন সেগুলো মনিটরিং করে।

বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খরচ এমপ্লয়ারদের বহন করার কথা সেগুলো কতটুকু হচ্ছে তারা তা মেকানিজম দিয়ে করবেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা এবং কর্মী কতো দ্রুত পাঠানো যায় সেই বিষয়টি।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু ফি আছে যেগুলো এমপ্লয়ারদের বহন করার কথা। অনেকক্ষেত্রে এগুলো কর্মী ও এজেন্টের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা বলেছে এই বিষয়গুলো তারা স্পষ্ট করবে।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]